বিএনএ ডেস্ক: পৌষের শেষে শীতের দাপটে কাবু উত্তরের জেলা দিনাজপুরের সাধারণ মানুষ। টানা চারদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই এই অঞ্চলে। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে বাইরে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। পেটের তাগিদে বাহির হলেও আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানান রোগে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শূন্য ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত দুই দিনের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস।
দিনমজুর রফিক বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। গতকালকের চেয়ে আজ আরও বেশি শীত পড়েছে। যত দিন যাচ্ছে তত শীতের মাত্রা বাড়ছে। বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এত পরিমাণ কুয়াশা ঝরছে যে, অনেক বেলা পর্যন্ত ঠিকমতো কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও মনে হচ্ছে সন্ধ্যা লেগে গেছে। শীতের কারণে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে করে ঠিকমতো কাজেও যেতে পারছি না। আবার পেটের তাগিদে বাহির হলেও যারা কাজে নেবে তারা না আসায় আগের মতো কাজ মিলছে না। কাজ করতে না পারায় সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের মতো মানুষদের। তার ওপর গরম কাপড়ের অভাব তো রয়েছে। সব মিলিয়ে শীতের কারণে আমাদের খুব কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।’
হিলির গোডাউন মোড়ের চা-দোকানি খাদেমুল বলেন, ‘হিলিতে যেভাবে কুয়াশা পড়ছে, এর সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। যার কারণে প্রচণ্ড শীত পড়তে শুরু করেছে। শীতের কারণে বাড়ি থেকে আসতে দেরি হওয়ায় দোকান খুলতেও দেরি হচ্ছে। তবে তীব্র শীতের মাঝে এত কষ্ট করে দোকান খুলেও আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। কারণ শীতের কারণে বাজারে মানুষজন তেমন নেই। যার কারণে বেচাকেনাও তেমন একটা নেই।’
আবহাওয়া অধিদফতর দিনাজপুরের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েকদিন থেকে দিনাজপুরের তাপমাত্রা কমতির দিকে। এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ