28 C
আবহাওয়া
১:১৮ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাতিল হলো সিইউএফএল’র মিঠা পানির দরপত্র 

বাতিল হলো সিইউএফএল’র মিঠা পানির দরপত্র 

সিইউএফএল

বিএনএ (চট্টগ্রাম) : অবশেষে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)এর কালুরঘাট ওয়াটার ইনটেক স্টেশনের আপ-স্ট্রীপ হতে ‘মিঠা পানি’ সরবরাহের দরপত্র খোলার আগে বাতিল হয়ে গেছে। বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) তে গত ৫ জানুয়ারি ‘‘ সিইউএফএল’ মিঠা পানি সরবরাহে নয়-ছয়, ফের দরপত্রের দাবি ’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জেরে  দরপত্রটি বাতিল করা হয়।

দরদাতাদের অনেকের অভিযোগ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে কারসাজি ও গোজামিলের আশ্রয় নিয়েছেন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দরদাতা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ-উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এ অবস্থায় সিবিএ নেতা ও টেন্ডার কমিটির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ডাকা হয় পুলিশ। এ পর্যায়ে দরপত্র বাতিলের দাবিতে দরদাতারা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কক্ষে অনড় অবস্থান নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাব না খুলে দরপত্র বাতিল করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সূত্র জানায়, গত ৬ জানুয়ারি ২০২১ বেলা সাড়ে ১১ টায় দরপত্র গ্রহণ শেষে দুপুর আড়াইটায়  সিইউএফ’এর রাঙ্গাদিয়ায় মহাব্যবস্থাপক (বানিজ্যিক) এর দপ্তরে দরপত্র খেলার কথা কথা। নির্ধারিত সময়ে রহস্যজনকভাবে কারিগরি প্রস্তাব খোলা হলেও আর্থিক প্রস্তাব খোলা হয়নি। উপস্থিত দরদাতাদের বলা হয় পরবর্তীতে টেলিফোনে ও ইমেলে কারিগরি প্রস্তাব উর্ত্তীণদের পরে জানানো হবে এতে দরপত্রে অংশগ্রহণকারিদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এক সপ্তাহ পর গত ১২ জানুয়ারি আর্থিক প্রস্তাব খোলার জন্য দরদাতাদের ডাকা হয়। কিন্তু আগের দিন একই ব্যক্তির তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে দাখিল করা সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠানই সর্বনিম্ম দরদাতা হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।  এটি এককান দু’কান করে দ্রুত দরদাতা এবং সিইউএফএল’র শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্য ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে দরপত্র বাতিলের দাবি করতে থাকে অন্য দরদাতারা।

দরদাতারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে একটি সিন্ডিকেটই পানি সরবরাহ করে আসছে। শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানে মিঠা পানি সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রস্তাব খোলা হবে এমন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি শিল্প মন্ত্রণালয়ে শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হলে  প্রথম দফা দরপত্র বাতিল করা হয়। সরকারি, আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত ও স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পানি সরবরাহ করতে পারবে যুক্ত করে দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহবান করা হয়। কিন্তু  দ্বিতীয় দরপত্রেও নানা সাংঘর্ষিক শর্ত রয়েছে। এর অন্যতম দরপত্রের ৩.০ দফা এর  ঝ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে দৈনিক ১৫০০০-১৬০০০ মেট্রিক টন মিঠা পানি সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বার্জসহ যাবতীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা  গ্রহণের মাধ্যমে র-ওয়াটার বেসিনে সরবরাহ কাজ শুরু হবে মর্মে অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে। ফাঁকিটা এখানেই, অভিযোগ প্রকৃত সরবরাহকারিদের। বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার জন্য বার্জ এর রেজিস্টেশন সার্টিফিকেট ও হাল নাগাদ সার্ভে সাটিফিকেট চাওয়া হয়নি!

এ ব্যাপারে সিইউএফএল’এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহীম বলেন, দরদাতাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে মিঠা পানি সরবরাহের আর্থিক প্রস্তাব না খুলে দ্বিতীয় দফা আহ্বান করা দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। তৃতীয় দফা দরপত্রে যাতে প্রকৃত সরবরাহকারিরাই অংশগ্রহণ করতে পারে, কেউ যেন আপত্তি করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিএনএ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ