35 C
আবহাওয়া
১১:৪১ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৮৮ (চট্টগ্রাম-১১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৮৮ (চট্টগ্রাম-১১)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর । আজ থাকছে চট্টগ্রাম-১১ আসনের হালচাল।

চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮ নং পাঠানটুলী, ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ী, ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭ নং উত্তর মধ্য হালিশহর, ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্য হালিশহর, ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর, ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৮ তম আসন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংসদীয় এই আসনটি চট্টগ্রাম-৮ নামে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আসনটি চট্টগ্রাম-১০ নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে সীমানা পূন:নির্ধারনের পর আসনটি আবার চট্টগ্রাম -১১ নামে পরিচয় বহন করে আসছে।

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮ শত ৬৩ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ১ শত ৪৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির খালেদা জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৯ হাজার ৪ শত ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মোঃ ইসহাক মিযা। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৪ হাজার ১ শত ৫৪ ভোট ।

পরবর্তীতে খালেদা জিয়া আসনটি ছেড়ে দেওয়ার পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপনির্বাচনে বিজয়ী হন
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪ শত ৭৬ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩ শত ৭৭ জন। নির্বাচনে বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৬ হাজার ৫ শত ৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আফছারুল আমিন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬ হাজার ৩ শত ৪১ ভোট।

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১ শত ২৭ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ২০ হাজার ৭৭ জন। নির্বাচনে বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৮১ হাজার ৫ শত ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আফছারুল আমিন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৯ হাজার ১ শত ৯৮ ভোট।

২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯ শত ৪২ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৫ শত ৫৮ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪ শত ৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪১ হাজার ৯ শত ৪৬ ভোট।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬৩ হাজার ৮ শত ৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির কামাল উদ্দীন চৌধুরী। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১ হাজার ৯ শত ৫৪ ভোট।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪ শত ৯ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২ শত ৭৮ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোকমান সওদাগর, মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, কোদাল প্রতীকে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অপু দাশ গুপ্ত এবং বটগাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলন এর মৌলভী রশিদুল হক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৮৩ হাজার ২ শত ৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী । ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫২ হাজার ৯ শত ১৬ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম ,ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং নবম , দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর চট্টগ্রাম-১১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৫.৯৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৩.১৬%, বিএনপি ৫২.১৪%, জাতীয় পার্টি ২.৩৬%, জামায়াত ইসলামী ১০.১১% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.২৩% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭০.৩৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪২.৯৯%, বিএনপি ৪৭.১১%, জামায়াত ইসলামী ৮.০১% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৮৯% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৬.১১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪০.৩৬%, ৪ দলীয় জোট ৫৬.৭৩%, জাতীয় পার্টি ১.২৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৬৭% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৪.১০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫১.১৫%, ৪ দলীয় জোট ৪৪.১৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৪.৭১% ভোট পায়।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ। এবারও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি এই আসনের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেরিন ড্রাইভ, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণসহ অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে এই সংসদীয় এলাকায়। এছাড়া সংসদ সদস্য এম.এ লতিফ তার সংসদীয় এলাকায় বছর ব্যাপি ন্যায মূল্যে পণ্য বিক্রি, আগ্রাবাদে সল্প আয়ের মানুষের জন্য অল্পমূল্যে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

নির্বাচনী ভাবনায়, সংসদ সদস্য এম.এ লতিফ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এই এলাকার গরীব অসহায় মানুষের নানাভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। যা আগে যারা সংসদ সদস্য ছিলেন তারা করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন। চতুর্থবারের মতো এই আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান সংসদ সদস্য এম.এ লতিফ।

এই আসনে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন চাইবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আইন উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শওগাতুল আনোয়ার খান। নব্বই দশকের রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্র নেতাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে গায়ক ‘ শওকত’ নামে চিনে। পতেঙ্গা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওগাতুল আনোয়ার পতেঙ্গা হালিশহর এলাকায় ছাত্রলীগকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করতে নানা নির্যাতন- হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। শুধু বন্দর-পতেঙ্গা-হালিশহর নয়, যুক্তরাজ্যে আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা ও বিষেদাগারকারিদের প্রতিরোধে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন ব্যরিস্টার শওগাতুল আনোয়ার খান। ২০১৪ সালে ১৫ ডিসেম্বের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুৎসারটনার প্রতিবাদ এবং সংবাদ সম্মেলেনর মাধ্যমে প্রকৃত সত্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরে নজর কাড়েন তিনি।

আওয়ামী লীগ থেকে আরও মনোনয়ন চাইবেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত এমএ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, চট্টগ্রাম কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের প্রথম সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু।

এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগে উস্কানি দাতা হিসাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। এই অবস্থায় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে আওয়ামী লীগের জহুর আহমেদ চৌধুরী, ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ব্যারিস্ট্যার সুলতান আহমেদ, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় আওয়ামী লীগের ইসহাক মিয়া, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লিয়াকত আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে সংসদ সদস্য হন বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া। পরে তার ছেড়ে দেয়া শুন্য আসনে সংসদ সদস্য হন আমির খসরু মাহমুদ, এরপর ১৯৯৬ সালের ষষ্ট ও সপ্তম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন তিনি। ২০০৮ সালের পর থেকে আসনটি চলে যায় এম এ লতিফের দখলে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এম এ লতিফ পরস্পরের আদর্শ উদ্দ্যেশে বিরোধ থাকলেও দুই জনের মধ্যে একটি বিষয় মিল রয়েছে। আর তা হচ্ছে দুজনই ব্যবসায়ি।

এই আসনে বন্দর-কাস্টমস এবং দুটি ইপিজেড থাকায় দেশের প্রধান দুই দলের কাছেই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (সিইপিজেড) ও কর্ণফুলী ইপিজেড ঘিরেই এখানে বসতি গড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমজীবী মানুষ। এই আসনে শ্রমিক-কর্মচারীদের ভোটেই নির্ধারণ হয় জয়-পরাজয়। এই আসনে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতা কাগজে কলমে। জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক তৎপরতা দৃশ্যমান না হলেও তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। যা বিএনপির বাক্সকে পূর্ণ করবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে সংসদের ২৮৮ তম সংসদীয় আসন (চট্টগ্রাম-১১) আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে খুব সহজে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হবেন এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, ওজি, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ