28 C
আবহাওয়া
১২:৫৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর


বিএনএ, ঢাকা : আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রাণ হারায় ১০ লাখ মানুষ। উপকূলীয় দ্বীপচরসহ বহু এলাকার ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে বিরান জনপদে পরিণত হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতায় আজও অনেকে শিউরে ওঠেন।

ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ভোলা এবং তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলে। ভোলার মনপুরা দ্বীপের ৩২ হাজার মানুষের মধ্যে ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। অসংখ্য মরদেহ ভেসে ছিল সাগর-নদী-খাল-বিলে। কতগুলো মরদেহ গাছে ঝুলছিল। অনেক মরদেহের দাফন বা সৎকার করা সম্ভব হয়নি। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় নোয়াখালী উপকূলের রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এবং পটুয়াখালীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে।

মনপুরা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. লতিফ ভূঁইয়া বলেন, এদিন এলেই আমার মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। স্রোত এবং ঝড়ের তাণ্ডব থেকে আমাকে বাঁচাতে গিয়ে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেলেন আর পাইনি মাকে। সেই বন্যায় আমি আমার পরিবারের মা-বাবা, বোনসহ ১৮ জনকে হারিয়েছি।

এজন্য দিনটিকে স্মরণে রাখতে ‘উপকূল দিবস’ দাবি জানিয়ে আসছেন উপকূলবাসী। ভয়াল সেই ঝড়ের পর অর্ধশতাব্দী কেটে গেলেও উপকূলের মানুষ এখনও অরক্ষিত, অবহেলিত। প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন কিছুটা আগাম বার্তায় ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও এখনও উপকূলের মানুষকে রক্ষায় বিস্তারিত প্ল্যান নেই। এমনটাই মনে করছেন উপকূলীয় এলাকা নিয়ে কাজ করা মানুষেরা।
১২ নভেম্বরে স্বজনদের মৃত্যুকে স্মরণ করে বিভিন্ন সংগঠন দোয়া, মিলাদ ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে থাকে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ