বিএনএ, চট্টগ্রাম: পরিবেশের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ ব্যবহার বর্জন করার নির্দেশনা দেয় পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর পরিবর্তে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে না চট্টগ্রামের সুপারশপগুলো। আগের মতোই ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। অপরদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুপারশপগুলোতে বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি পাট বা কাপড়ের ব্যাগ পৌঁছানোর কথা থাকলেও সব সুপারশপে তা পৌঁছায়নি। এছাড়া অনেকে পলিথিনের বিকল্প ব্যাগ পাননি।
জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় সুপারশপগুলোতে পলিথিন ব্যবহার বর্জন করতে বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিকল্প হিসেবে ক্রেতাদের জন্য সব সুপারশপে বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ রাখতে বলা হয়। এ নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর স্বপ্ন, খুলশী মার্ট, বাস্কেটসহ বেশ কিছু সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে, কেনাবেচায় পলিথিনের সঙ্গে কাগজের ব্যাগও ব্যবহার করছে। বাস্কেটসহ কিছু জায়গায় পাটের ব্যাগ থাকলেও সেটা একদমই কম। পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। পলিথিনের ব্যাগ না দিলে বাজার না করে চলে যাচ্ছেন।
মুদি ও কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে অবাধে চলছে পলিথিনের ব্যাগের ব্যবহার। কাস্টমার ও দোকানি অনেকেই জানেন না পলিথিন ব্যাগ যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ বাসা থেকে ব্যাগ আনতেও দেখা যায়নি। সবাই দোকান থেকে দেওয়া পলিথিনের ব্যাগে বাজার করছেন।
দোকানদাররা জানান, সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে শুনেছি। কিন্তু মানতে কাউকে দেখছি না। বাজারে কেউই ব্যাগ নিয়ে আসে না। ব্যাগ না দিলে কাস্টমার অন্য দোকানে চলে যায়। যার কারণে বাধ্য হয়ে দিতেই হয়।
বিএনএনিউজ / আরএস/ শাম্মী/এইচমুন্নী