বিএনএ ডেস্ক : দেড় বছর পর আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ (১২ সেপ্টেম্বর) খুলছে দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সোয়া তিন কোটি ছাত্রছাত্রী আছে।
প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুসরণ করা হচ্ছে। পাঠদান চলাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসংক্রান্ত নিয়মাবলি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি দুই স্তরে তা মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই দৈনিক আসবে আলাদা দুটি মনিটরিং প্রতিবেদন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এগুলো অভিন্ন ক্লাস রুটিনে চলবে। প্রায় অর্ধলক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো অবশ্য নিজ নিজ রুটিন অনুসরণ করবে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে দফায় দফায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজার ও বিপণিবিতানগুলোতে শিক্ষাসামগ্রী বিশেষ করে জুতা-মোজা, ব্যাগ এবং স্কুল ড্রেস কিনতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে শিক্ষকরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। একদিকে তারা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালান। আরেকদিকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রুটিন তৈরির পাশাপাশি ক্লাসরুমে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বসানো, হাত ধোয়া, অসুস্থ হলে বিশেষ কক্ষে পরিচর্যা ইত্যাদি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিএনএ/ওজি