বিএনএ, চট্টগ্রাম: আন্দোলনে সহিংসতার সব দেখেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। হাসিনা সরকার পতনের পর ভাংচুর করা হয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো। এসব ভাংচুরের মধ্যে লন্ড ভন্ড হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বেশির ভাগ ওয়ার্ড কার্যালয় ও থানা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানার কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো তালাবদ্ধ ও ভাংচুর অবস্থায় রয়েছে ওয়ার্ড কার্যালয় গুলো।
দেখা গেছে আন্দোলন ও সরকার পতনের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিমের বাড়িসহ সিটি কর্পোরেশনের অন্তত ২০টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে অফিস করছেন না ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। কার্যালয়ে আসছেন সচিব ও অন্য কর্মীরা। ফলে সেবা নিতে আসা নগরবাসীদের ফেরত যেতে হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সনদ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ড কার্যালয়ে ওয়ার্ড সচিব ও কর্মীরাও আসলেও এখনো সেবা পাচ্ছেন না নগরবাসী।
এদিকে সরকার পতনের পর দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত কার্যালয়ে যাননি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম। বন্ধ রয়েছে তাঁর মোবাইল ফোনও। এমনকি মেয়র কোথায় অবস্থান করছেন কিংবা কবে নাগাদ অফিস শুরু করবেন তার তথ্যও জানা নেই চসিক কর্মকর্তাদের। তাঁরা নিয়মিত অফিস করলেও ‘কাজকর্ম’ আটকে গেছে তাঁর অনুপস্থিতিতে। তবে দৈনন্দিন কাযক্রম চলছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের দুদিন আগে অর্থাৎ ৩ আগস্ট চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। আর মেয়রের অনুপস্থিতে চসিকের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মেয়র অফিস না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, মেয়র এখনো অফিস করে নাই। আজকেও অফিসে আসে নাই। ওনি কোথায় আছে এবিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু জানি না।
এদিকে সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় সেবা নিয়ে চরম ভোগান্তি পড়েছে সেবাপ্রার্থীরা। এসব ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয়তা সনদ, চারিত্রিক সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, ওয়ারিশান সনদসহ প্রয়োজনীয় সব সনদ দেওয়া হয়। এসব সনদে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর লাগে। কিন্তু এখন তা ইস্যু করা যাচ্ছে না।
এবিষয়ে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়গুলোর বেশির ভাগ ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি খোলার মতো অবস্থা নেই। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা না থাকায় মানুষ সেবা পাচ্ছেন না। অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।
বিএনএনিউজ/নাবিদ/এইচ.এম/হাসনা