বিএনএ,কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দিয়েছে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি তারিকুল ইসলাম। এদিকে সভাপতির এমন স্ট্যাটাসের পরও নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায়ের অনুষ্ঠানটি চালিয়ে নেয় সংগঠনটি।
জানা যায়, শুক্রবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়। এদিন অনুষ্ঠান শুরুর আগে বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা প্রদান করে পদপ্রত্যাশীরা। এসময় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় তারা। পরে সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দেন সংগঠনটির সভাপতি তারিকুল ইসলাম।
তার নিজস্ব ফেসবুকে তিনি লিখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ী হইতো তাদের বিচার দুনিয়ার এই নামদারী বিচারকদের কাছে পাবো না। আল্লাহর আদালতে দেখা হবে। আল্লাহ তুমি আমার মা বাপ রে দেইখা রাইখো। আল্লাহ তুমি জালিম বিচারকদের বিচার কইরো। চট্টগ্রাম ঢাকা হাইওয়ে। আমি ডেকে ছিলাম সমাধান করে দিতে। আমি সিগনেচার দেয়ার জন্য আসি নাই। বারবার বলতেছিলাম প্রোগ্রামের পর এটার সমাধান করবো।লোক দেখানো ভদ্রভাবে বিচারটা হয়ে গেলো।সিগনেচারটা দিয়ে দিলাম। কিয়ামতের দিন দেখা হবে। মা তোমার সাথে কতদিন কথা হয় না।সরি বাবা তোমার কলগুলো কেটে দিছি।তোমরা তো আমাকে ক্ষমা করে দিবে জানি। মা শুননা আমি কারো সাথে ঝামেলা করি নাই। মা ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না। আপু তোমরা তো আমাকে চেনো। কুমিল্লা ইউনির্ভাসিটি আমাকে চেনে নাই। এইখানের বিচারকরা আমাকে বাঁচলে দিলো না। মা তুমি ওদের ক্ষমা করে দিও। বিচার চাইও না। ওরা বিচার বিচার করতে জানে না। মা তুমি জানো এর আগেও খালেদ সাইফুল্লা খুন হয়েছিলো। উনার মা বিচার পাই নাই।মা আমার জন্য কাঁদিও না।মা তোমায় মিস করবো। মা তুমি জানো ওরা আমাকে বলেছে সিগনেচার করে দিতে। আমি করে দিছি। আমি ঝামেলা করি নাই। মা জানো আমি অনেক রাগী ছিলাম। এখন অভিমানী। মা মিস ইউ। আব্বু, আপু নাদিয়া স্যরি।”
এদিকে সভাপতির এমন স্ট্যাটাসের পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসাইন বলেন, অতিথিরা চলে আসার কারণে আমি সামান্য সময় অনুষ্ঠানে চলমান রেখেছি।
বিএনএনিউজ২৪.কম/হাবিবুর রহমান হাবিব/এনএএম