বিএনএ, ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসেনকে মারধরের ঘটনার বিচার দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতি চলছে। এতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।
শুক্রবার ঢামেকে দেখা যায়, রোগীর চাপ ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। ভর্তি থাকা রোগীও ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। তবে ছিলেন না ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কেউই। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এখন এক মাত্র ভরসা সরকারি চিকিৎসক তাও তুলনামূলক কম।
এ বিষয়ে ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে রোগীদের যাতে সমস্যা না হয় আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি। রোগীদের সেবা অব্যাহত আছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসক, প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মারধরের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরও দোষীদের শনাক্ত না করতে পারায় বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে তারা আগামীকাল (শনিবার) পুলিশপ্রধানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে৷
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মহিউদ্দিন জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মারুফ উল আহসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র ৮ আগস্ট রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিনা কারণে সাজ্জাদ হোসেনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়।
ডা. মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা হয়ে গেলো, এখনো প্রশাসন কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করলাম। দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আগ পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
বিএনএ/আজিজুল, ওজি