বিএনএ, ডেস্ক : বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের বরিশাল প্রতিনিধি সাইয়েদ কাজল জানান, উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোট শুরু হলেও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গননা। প্রথমবারের মতো এখানে সব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮ টা থেকে নগরের ৩০ টি ওয়ার্ডের ১২৬ টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
হাতপাখার প্রতীকের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলাসহ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঘটা বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা এবং চার মেয়র প্রার্থীর অভিযোগের মধ্য দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
তবে যারা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছেন তাদের ভোটগ্রহণ এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। এদিকে নির্বাচন ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল গোটা নগর। বরিশাল জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়াম থেকে ফল ঘোষণা করা হবে। ভোট গণনা শেষে জানা যাবে, কে হবেন বরিশাল সিটির পরবর্তী নগরপিতা, আর কে হচ্ছেন কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
বরিশালের এবারের সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। হিসেব অনুযায়ী পুরুষের থেকে এক হাজার ৩২০ জন নারী ভোটার বেশি। আর নির্বাচনে সাত জন মেয়র প্রার্থী, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এদিকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে খুলনা সিটি নির্বাচন। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেন দেন ভোটাররা। সুষ্ঠু ভোট হলে বড় দলের প্রার্থীরা জয়ের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে খুলনায় বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য ছাড়াও নির্বাচনি মাঠে আছেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
বিএনএ/ ওজি