বিএনএ, চট্টগ্রাম : বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির নেতা আমির খসরু আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিলহানুর রহমান নাওমীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। সোমবার (১২ জুন) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।এ মামলায় সাক্ষীর জন্য পরবর্তী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। এ সময় আদালতে দুইজনই উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় ফোনালাপে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানির অভিযোগে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মামলা হয়। চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩ / ৫৭ (২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারার পৃথক অভিযোগ আনা হয় দুই মামলায়।
অভিযোগে বলা হয়, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরির জন্য আমীর খসরু মাহমুদ অপর আসামিকে উসকানি দেন। ওই ফোনালাপের ভয়েস ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভয়েস ক্লিপটিতে কুমিল্লা জেলার নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ কথা বলার অভিযোগ ওঠে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপ, নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে অচল করার ষড়যন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো।
অডিও ক্লিপে নওমীকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সক্রিয় করা এবং সাধারণ মানুষকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হন। এ ঘটনার নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
বিএনএ/ ওজি