বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ লাখ জাল বাংলাদেশি টাকা ও দেড় লাখ ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়োন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জাল টাকা ও রূপি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম, আলী হায়দার, তাইজুল ইসলাম লিটন ও মহসিন ইসলাম মিয়া।
অভিযানে জাল টাকা ও রুপি তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিভিন্ন রকমের কালি, স্ক্রিন ফ্রেম, বিশেষ ধরনের কাগজ, কেমিক্যালস, স্ক্যানার মেশিন, কাটার ও স্কেল জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রাজধানীর আগর লালবাগে ৫/৬ মাস আগে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে রেখেছিল জাল মুদ্রা কারবারি চক্র। উদ্দেশ্য ছিল রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণে জালটাকা তৈরি করে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দেয়া।
কারখানার মূল পরিচালক লিটন অষ্টম শ্রেণি পাস। তিনি নিজে মেকার। দীর্ঘদিন নীলক্ষেতে কম্পিউটারের দোকানে গ্রাফিক্সের কাজ করায় বিভিন্ন ধরনের জাল কাগজপত্র, দলিলাদি, জাল টাকা বা রুপি বানাতে পটু লিটন।
লিটন বিশেষ ধরনের কাগজ কিনে তা জোড়া লাগানো, কাগজে বঙ্গবন্ধুর ও গান্ধীর ছবি স্ক্রিন প্রিন্টিং/জলছাপ দেয়া, রংয়ের সমন্বয়ের কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু বা মহাত্মা গান্ধীর ছবি তিনি নিজে মূল টাকা থেকে স্ক্যানিং করে পেনড্রাইভে নিয়ে রাখেন।
জাল টাকা-রূপি তৈরি ও বাজারজাত করতে লিটনের এসব কাজে সহযোগিতা করেন আলী হায়দার। জাহাঙ্গীর নওগাঁ, নাটোর, বগুড়াসহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেকগুলো ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন। খুচরা বিক্রেতারা শহরের ব্যস্ততম এলাকায় রেস্টুরেন্ট, ভোজ্য সামগ্রী, প্রসাধনী, পরিধেয় বস্ত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ভালো টাকার ভেতরে জাল টাকা ঢুকিয়ে দেন।
ডিবি জানায়, লিটনের কাছ থেকে জাহাঙ্গীর ও মহসিন ১ লাখ জাল টাকা ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজারে কিনে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা লাভে বিক্রি করতো। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জাল টাকা তৈরি ও বিক্রির একাধিক মামলা রয়েছে।
বিএনএ/ এ আর