বিএনএ, ঢাকা : পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। পেঁয়াজ, চিনি ও সয়াবিন তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ৪১টি কৃষিপণ্যের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১১টায় রাজধানীর কৃষি বিপণন অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওই সংস্থার মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।
খুচরা মূল্য নির্ধারণ অনুসারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা, চিনি ৬৭ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটারে ১৩৯ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। বাজার মনিটরিংয়ে ভ্রাম্যমান আদালতসহ মাঠে থাকবে ৩ মন্ত্রণালয় ও ৩টি সেবা প্রতিষ্ঠান। তবে, যৌথ বাজার তদারকিতে আস্থা রাখতে পারছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা।
অতীত অভিজ্ঞতার কারণে এই কড়াকড়িকেও ক্রেতারা ইতিবাচক হিসেবে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, সবকিছুরই দাম বেড়ে যাচ্ছে। ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে কোন কোন পণ্যের। রমজানকে সামনে রেখে সম্ভাব্য যেসব পণ্যের দাম বাড়ে সেগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলছেন অনেকেই।
একটু কম দামে ঘরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে যেতেই এই দরাদরি। সামনে রমজান। সিন্ডিকেট আর অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হুহু করে বাড়ার মৌসুম। এমন বাস্তবতাকে সামনে রেখেই কৃষি বিপণন অধিদফতর সোমবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে। মোট ৪১টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বেধে দিয়ে জোর দিয়েছে বাজার তদারকিতে।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আসন্ন রমজানে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। সকলে মিলে আমরা মনিটরিং করে যে দামটা নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে যাতে বিক্রি করা হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুরো ঢাকা শহরে ৩০ টির উপরে মোবাইল টিম কাজ করেছে। যদি আমরা দেখতে পাই যে, কোন অসাদু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্তিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির পায়তারা করে সেক্ষেত্রে আমরা আরও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করবো।
ক্রেতারা বলছেন, মধ্যবিত্তরা বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে। আর, খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন সিন্ডিকেটকে। বিত্রেতারা বলছেন, এ সপ্তাহে দাম কম হলেও পরের সপ্তাহে ২০ টাকা দাম বেড়ে যায়। তখন ক্রেতারা ঝগড়া শুরু করে।
বিএনএ নিউজ/এসবি/আমিন