18 C
আবহাওয়া
১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ইফতার সামগ্রীসহ সব নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন!

ইফতার সামগ্রীসহ সব নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন!


বিএনএ ডেস্ক : মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগেই বাজারে যেন আগুন লেগেছে। ইফতার সামগ্রী থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের দাম পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে। রমজানে আঙুর-আপেলের পরিবর্তে দেশি ফল বরই-পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। কিন্তু বাজারে সেই দেশি ফলও সাধারণের নাগালের বাহিরে।

YouTube player

সরেজমিনে বাজার দর যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, মান ও এলাকাভেদে দেশীয় ফল বরইয়ের দাম ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, তেমনি পেয়ারার দাম ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বরই ও পেয়ারার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। বিলাসী পণ্য খেজুর মান ভেদে গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত।

দোকানিরা জানায়, ‘ইফতারিতে অনেকে ফলমূল বেশি খান, সে কারণে চাহিদাও থাকে অনেক বেশি। রমজান মাসে ফলের ফ্রেশ জুসের চাহিদা বেশি থাকে। তাছাড়া এবার রোজা শুরু হয়েছে গরমে। তাই ফলের দামও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

রোজাদারের তৃষ্ণা মেটাতে শরবত খাবেন সেই উপায়ও যেন নেই এবার। দেশি লেবু হালি প্রতি মানভেদে বিক্রয় হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০টাকা।

বিশেষ করে মাল্টা, কমলা, বেল, আনারস, বেদানার দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি পিস বেল ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বেদানা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা,  তরমুজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মাঝারি সাইজের আনারস ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা কমলার কেজি ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকা থেকে ১৫০টাকা।  এসব ফল দিয়ে ইফতারিতে জুস করে খান অনেকে। তাই অন্য ফলের পাশাপাশি শরবত আইটেম হিসেবে কাজে লাগা ফলগুলোর দাম বেড়েছে।’

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ইসবগুলের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২৩০০ টাকায়। যা তিন মাস আগে ছিল ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে। মানভেদে প্রতি কেজি ট্যাং বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। যা কিছুদিন আগে ছিল ৮০০ টাকা। ৭৫০ গ্রাম ওজনের প্যাকেটজাত ট্যাং আগে বিক্রি হতো ৭৬০ টাকায়। এখন নতুন উৎপাদন করা প্যাকেটে দাম বাড়ানো হয়েছে। ছোট সাইজের রুহ আফজা ৩০০ মিলিলিটারের দাম আগে ছিল ২১০ টাকা, এখন ২৮০ টাকা করা হয়েছে। বড় সাইজের রুহ আফজা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। এখন বেড়ে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এছাড়া ইসপি, অরেঞ্জ, ম্যাংগো ফ্লেভারের বিভিন্ন শরবতের পাউডারের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে বাজারে খোলা চিনির দাম স্থিতিশীল। এখনও কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বেসরকারি চাকুরিজীবী হাসিনা আকতার মুন্নী বলেন, ‘ইফতারে কিছুই খাওয়ার উপায় নেই। বাজারে সবকিছুতেই আগুন। মানুষ রমজানে যে একটু শান্তিতে ইফতার করবে সেই উপায়ও নেই। ৫০০-১৫০০ টাকায় কিছু খেজুর বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো অর্ধেক পচা। দেশি ফল যে খাব তারও কোনো উপায় নেই,  মন্ত্রী বরই ও পেয়ারা খাবার কথা বলার পর বিদেশি ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে  বরই ও পেয়ারাসহ সব মৌসুমী ফলের দাম বেড়ে গেছে। এসব ফলও সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাহিরে।  শুধু ইফতার সামগ্রী নয়, সব নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। সরকার  মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়িরা বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন  করে চলেছে।  মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে  উঠেছে।

বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ