বিএনএ, চট্টগ্রাম : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি না করতে দলটির নেতাদের অনুরোধ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালত থেকে জামিন বা খালাস না পাওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে মুক্তি দিয়ে ঘরে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সে জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়া।
শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের ফয়েস লেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলের এত বিদেশ-প্রীতি কেন প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার যে কথাগুলো বলা হচ্ছে- এগুলো বহু বছরের পুরনো অসুবিধা। তার যে আর্থাইটিজের সমস্যা সেটি ২০ বছরের পুরনো সমস্যা। সেই সমস্যা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সমস্যাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখানো সমীচিন নয়।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে আজকে মুক্তি নিয়ে জেলখানার বাইরে ঘরে অবস্থান করছেন সেটি বঙ্গবন্ধু কন্যার মানবিকতার কারণে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সেই নিবেদনটুকুই করেছিলেন। বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজের মধ্যে সবসময় দ্বিচারিতা। এই ক্ষেত্রেও আমরা সেটি লক্ষ্য করছি।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমাদের তরুণ ও যুবকরা সম্পৃক্ত হবে ততবেশি তাদের মননশীলতার বিকাশ হবে। আজকে তরুণরা যে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, মাদকাসক্ত হচ্ছে, এগুলো থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে, আমরা অতীতে বিশ্লেষণ করে দেখেছি, যে সমস্ত জায়গায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বেশি সেখানে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ঘিরে যেন ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও উৎসব হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কোন কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতীয় কেন্দ্র। যারা কেন্দ্র পরিচালনার সাথে জড়িত এবং যারা শিল্পী-কলাকুশলী আছেন তাদেরও এটি মাথায় রাখতে হবে। আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গান গাইলে শুধু চট্টগ্রামেই দেখা যেতো, এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে কেউ পারফর্ম করলে সেটি সমগ্র দেশে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, অতিরিক্ত তথ্য সচিব মিজান উল আলম, নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার বক্তব্য দেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।