বিএনএ: দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ খবরে তার নিজ জেলা পাবনায় তৈরি হয়েছে আনন্দঘন পরিবেশ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বাড়তে থাকে নেতা-কর্মীদের ভীড়। শুরু হয় মিষ্টি মুখ করা ও আনন্দ উল্লাস। তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পথচারী ও রিকশাচালকদের মিষ্টি মুখ করান তাঁরা।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম পাবনায়, ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে তিনি অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এখন তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের খবর পাবনায় জানাজানি হলে শহরবাসীর মুখে মুখে বিষয়টি প্রচার হতে থাকে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম বলেন, ‘মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পাবনাবাসীর গর্ব। তিনি একজন গুণী মানুষ। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেয়ায় তারা খুব আনন্দিত।
পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আবদুর রহিম বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় যোগ্য ব্যক্তিকেই যোগ্য আসনে দেন। এটা তার প্রমাণ। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান বলেন, ‘খবরটি জানার পর চোখে পানি এসে গেছে। এই প্রাপ্তি পুরো জেলাবাসীর প্রাপ্তি। আমরা শুকরিয়া জানাই।’
বিএনএনিউজ/এ আর