বিএনএ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিকদের হুমকির বিচারের দাবিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চবি সাংবাদিক সমিতিও একাত্মতা পোষণ করে।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ১১টায় বিভাগটির সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন শুরু হয়। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ৪ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- দোষীদের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে, তিন দিনের মধ্যে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ক্যাম্পাসে সাংবাদিক হেনস্তার পূর্বের সকল ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে সাংবাদিকসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মারজান আক্তার বলেন, আপনারা সবাই জানেন গত বৃহস্পতিবার আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এর যদি কোনো সুষ্ঠু পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে দোষীরা ছাড় পেয়ে যাবে। ২০২২ সালে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে সাংবাদিকরা ৪ বার এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। সেগুলোরও কোনো সুষ্ঠু বিচার প্রশাসন করতে পারেনি। আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, তোর নিরাপত্তা কে দিবে দেখে নিবো! এই হুমকির অর্থ কি? আমাকে কি তারা মেরে ফেলবে? এসিড মারবে? কি করতে চাই তারা? আমি এ ধরনের ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করছি।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের সুখ-দু:খ ও হাসি-কান্নার সঙ্গী সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনার গল্পের পাশাপাশি সব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও উঠে আসে সাংবাদিকদের কলমে৷ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করা মানে ২৮হাজার শিক্ষার্থীর টুটি চেপে ধরা। আমরা আজকের এই আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এসময় যোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় কাজ করে থাকে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি কোন নারী সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন তাহলে সারা বাংলাদেশের পুরো ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সুতরাং প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এরকম ঘটনা যারা ঘটায় তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় এনে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী।
বিএনএ /সুমন বাইজিদ,বিএম,ওজি