বিএনএ,বিশ্ব ডেস্ক:২৩ হাজার ৩১৪ জন কারাবন্দিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে মায়ানমারের স্টেট এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাউন্সিল।পাশাপাশি ৫৫ বিদেশি বন্দিকে ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েও একটি বিবৃতি এসেছে।
জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর সভাপতিত্বে কাউন্সিলের বৈঠকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির আগে যে কোন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এই বন্দীদের ক্ষমার অনুমোদন দেয়া হয়।দুটি আদেশেই জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সই রয়েছে।
শুক্রবার(১২ ফেব্রুয়ারি)জেনারেল মিন অং হ্লাইং এক ঘোষণায় বলেন,শন্তি, উন্নয়ন ও শৃঙ্খলাসহ মায়ানমার যখন একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছে তখন বন্দিদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।মানবিক ও সহানুভূতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বন্দিদের সাজা মওকুফ করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ধরপাকড়ের সপ্তাহখানেক পর জান্তার কাছ থেকে এই ক্ষমার ঘোষণা আসলো।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে,তবে তাদের ৪০ বছরের আগে মুক্তির সম্ভাবনা নেই।এছাড়া পূর্ববর্তী সাধারণ ক্ষমার আদেশে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত যাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে তারা এই নির্দেশের বাইরে রয়েছেন।পূর্ববর্তী আদেশে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের সাজা কমিয়ে ৫০ বছর এবং ৪০ বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্তদের সাজা কমিয়ে ৪০ বছর এবং ৪০ বছর এর চেয়ে কম সাজাপ্রাপ্তদের সাজার মেয়াদ এক চতুর্থাংশ হ্রাস করা হয়েছে।রাষ্ট্রীয টেলিভিশন গ্লোবাল নিউ লাইট বলছে, এসব বন্দিকে তাদের কারাদণ্ডের বাকি সাজা ভোগ করতে হবে না।তারা মুক্ত থাকবেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুকিকে গ্রেফতারের পর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।এ ঘটনার পর থেকেই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন দেশটির সাধারণ জনগণ।গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিজ্ঞায় টানা ষষ্ঠদিনের মতো মায়ানমার জুড়ে বৃহস্পতিবার(১১ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভ হয়েছে।রাজধানী নেপিডোর রাস্তায় শত শত প্রতিবাদকারী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে জান্তাবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, সু চির সমর্থনে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছে।অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও গণবিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগ শুরু করেছে জান্তা।আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে গুলিও চালিয়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি