বিএনএ, যশোর: জানুয়ারী মাসের প্রথম থেকেই যশোরের শার্শা উপজেলার কিছু কিছু অঞ্চলে বোরো ধান রোপন শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর জমি লিজ, আগাছা পরিস্কার, লাঙ্গল ও রোপন খরচ বেশী পড়ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। এছাড়াও সারের দাম দিন দিন যে হারে বাড়ছে তাতে চাষীরা বোরো খরচে হিমশিম খাবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর শার্শায় ২৩ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। পরিবেশ অনুকুলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শার্শা সীমান্তবর্তী আলোচিত ঠেঙামারী বিলেও বোরো রোপন চলছে। তবে জলাবদ্ধতার কারণে তলার জমিতে ধান রোপন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
রুদ্রপুর গ্রামের কৃষক আকবর আলী দেড় বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছেন। এখনো আড়াই বিঘা জমিতে ধান রোপন করবেন। জমিতে পানি জমে থাকার কারণে ধান রোপনে বিলম্ব হচ্ছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ৯ হাজার টাকা বিঘা দরে জমি লিজ নিয়েছেন। এক বিঘা জমির আগাছা পরিস্কার করতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। লাঙ্গল খরচ ১ হাজার, রোয়া খরচ ১২ শ” ও প্রথমবার সার খরচ ১ হাজার, পানি খরচ ৩ হাজার টাকাসহ ১৮ হাজার দুইশত টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখনও সার কীটনাশক ও ধান কাটা, ঝাড়া ও গোছানো খরচতো বাকী রয়েছে। সব মিলিয়ে ১ বিঘা জমির ফসল ঘরে তুলতে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা খরচ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, কারেন্ট পোকা দমনে এ বছর সকল চাষীদের সুতো টাঙিয়ে লাইনে ধান রোপন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০ লাইন পর পর ১০ ইঞ্চি লোগো অর্থাৎ ১০ ইঞ্চি দুরত্বে লাইন করে ধান রোপন করতে বলা হয়েছে। তা না হলে পোকা দমন কার্যকর হবে না। এবছর রড সুপার ও সুবর্ণ লতাসহ বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল বোরোধান রোপনে চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিএনএনিউজ/ মো. সোহাগ হোসেন/ বিএম /এইচমুন্নী