বিএনএ,চট্টগ্রাম:হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাটহাজারী মইনুল ইসলাম দারুল উলুম মাদ্রাসায় গিয়ে বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ১৫ জনের জবানবন্দি নিয়েছে পিবিআই’র একটি টিম।
দু’জন পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সকালে পিবিআইয়ের একটি বিশাল টিম মাদ্রাসায় প্রবেশ করে।এরপর আল্লামা আহমদ শফির মৃত্যু রহস্য উন্মোচনে ২ ঘণ্টা ধরে ১৫ জনের জবানবন্দি নেয় তারা।
১৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থ অবস্থায় আল্লামা আহমদ শফি হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে আসার সময় তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে দিয়ে অক্সিজেন পাইপ খুলে দেয়ার অভিযোগ করা হয়। আর এ অভিযোগের সত্যতা যাছাইয়ের জন্য হেফাজত নেতাদের জবানবন্দি নেয় পিবিআই।
সে সময় নিরাপত্তায় মাদ্রাসাজুড়ে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ছিল।পরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফির কক্ষে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন পিবিআইয়ের তদন্ত দলের সদস্যরা।এরপর ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসায় গিয়ে অনুসন্ধান করে তদন্ত দল ।
এরআগে আল্লামা আহমদ শফিকে হত্যার অভিযোগে গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে এর আদালতে পরিবারের পক্ষ থেকে হেফাজতের ৩৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- মামুনুল হক,নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান, মো. নজরুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, জাফর আহমদ, মীর জিয়াউদ্দিন, আহমদ, মাহমুদ, আসাদউল্লাহ, জোবায়ের মাহমুদ, এইচ এম জুনায়েদ, আনোয়ার শাহ, আহমদ কামাল, নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম কাসেমী, মোহাম্মদ হাসান, ওবায়দুল্লাহ ওবাইদ, জুবায়ের, মোহাম্মদ, রফিক সোহেল, আমিনুল হক, মোবিনুল হক, নাঈম, হাফেজ সায়েম উল্লাহ, হাসান জামিলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ থেকে ৯০ জন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি