বিএনএ ডেস্ক : স্বামী বিবেকানন্দ’র ১৫৯তম জন্মদিন আজ। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা অঞ্চলের ৩ নং গৌরমোহন মুখার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নাম রাখা হয় নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তার বাবা ছিলেন বিশ্বনাথ দত্ত কলকাতা উচ্চ আদালতের আইনজীবি। বিবেকানন্দরা ছিলেন ৯ ভাই-বোন।
১৮৮১ সালে তিনি যুগাবতার খ্যাত রামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আসেন এবং ১৮৮৭ সালে সন্ন্যাস গ্রহণের পর স্বামী বিবেকানন্দ নাম ধারণ করেন।
১৮৮৪ সালে বাবা মারা গেলে তার পরিবার তীব্র অর্থকষ্টের মধ্যে পড়ে। তিনি চাকরির অনুসন্ধানে নামেন। এ সময়ে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের সান্নিধ্যে আসেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসকে গুরু বলে মেনে নেন।
বিবেকানন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণে তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তার রচিত দুইটি বিখ্যাত গান হল ‘খন্ডন-ভব-বন্ধন’ (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও ‘নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি’।
এছাড়া, মানুষের আত্মবিশ্বাস জাগাতে তার মুখ থেকে নিঃসৃত বাক্যর তুলনা হয়না। ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’- এটি বিবেকানন্দের সর্বাধিক উদ্ধৃত একটি উক্তি।
ভারতে বিবেকানন্দকে ‘বীর সন্ন্যাসী’ নামে অভিহিত করা হয় এবং তার জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়।
১৯০২ সালের ৪ জুলাই ভারতের বেলুড় মঠে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিএনএনিউজ/জেবি