বিএনএ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আল মদিনা নামের একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই চালক মো. রুবেল ও যাত্রী আবুল কালাম নামের দুই জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ জন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকার চরসীতা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে। সে দুর্ঘটনা কবলিত আল মদীনা বাসের চালক ছিলেন। নিহত কালাম পেশায় রঙমিস্ত্রি। তিনি পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন- নাইম (২৪) ও আবুল হোসেন (৫০)। আহত আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, ভোররাত ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতি রুটে চলাচলকারী আল মদিনা পরিবহন নামের একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আসে। ফিলিং স্টেশন থেকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন কমপক্ষে ৩ জন। দুর্ঘটনায় মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে। পরে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, আল মদিনা নামের ওই বাসটি শহরের ঝুমুর এলাকায় রঙের কাজ শেষে ওই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসে। এ সময় বাসের সঙ্গে রঙমিস্ত্রি আবুল কালামও ফিলিং স্টেশনে আসেন। সেখানেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মারা যান তিনি। শীতের রাত হওয়ায় গাড়ির চাপ ছিল না ফিলিং স্টেশনে। তা না হলে এই ঘটনায় অনেক লোক হতাহত হতো।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, ‘বাসটির সিলিন্ডার ত্রুটিযুক্ত ছিল। এজন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনও চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন ও ৩ জন আহত হয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ অক্টোবর এই ফিলিং স্টেশনে অন্য একটি বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হন। ওই দিন আরও ৯ জন আহত হন। এর মধ্যে একজনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী