নিউইয়র্ক, ১১ ডিসেম্বর : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে প্রচেষ্টা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক সহায়তাসহ জাতিসংঘের মানবিক ও দুর্যোগ-ত্রাণ সহায়তার সমন্বয় জোরদার করা’ শীর্ষক সাধারণ বিতর্কে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যে মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে তা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মিয়ানমার পরিস্থিতির উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো বেশি মনোযোগ বাড়ানোর অনুরোধ জানান যাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের নিজভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়। রোহিঙ্গা সঙ্কটের ফলে এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে যে জটিল রাজনৈতিক ও মানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সংকট দীর্ঘায়িত হলে তা আরো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ক্রমবর্ধমান ঘটনা প্রসঙ্গে ফাতিমা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাস্তুচ্যুতদের মানবিক চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ ও অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি প্লাটফর্ম অন ডিজাস্টার ডিসপ্লেসমেন্ট এর বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহযোগিতার প্রবেশাধিকার না দেওয়া এবং মানবাধিকার কর্মী ও মানবিক সাহায্যের স্থাপনা ও সরঞ্জামাদির ওপর নির্বিচারে সশস্ত্র হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
সাধারণ বিতর্কের পর সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘের মানবিক ও দুর্যোগ-ত্রাণ সহযোগিতার সমন্বয় শক্তিশালীকরণ বিষয়ক চারটি রেজুলেশন গৃহীত হয়। এর মধ্যে ‘গ্রুপ-৭৭ ও চীন’ এর পক্ষে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক রেজুলেশনটি গ্রহণের ক্ষেত্রে সমন্বয় করে বাংলাদেশ।