বিএনএ ডেস্ক : পুলিশের কনস্টেবল পদে চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ন হলেও ভুমিহীন হওয়ায় চাকুরি না পাওয়ায় আসপিয়াকে শ্রীপুরের এক ব্যবসায়ী যুবক মেজবাহ উদ্দিন জমি লিখে দিতে চান।মেজবাহ উদ্দিন শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মৃত কফিল উদ্দিন মেম্বারের ছেলে।
জানা গেছে, সরকারি হিজলা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করেছেন আসপিয়া ইসলাম। ১৫ বছর ধরে উপজেলার খুন্না-গোবিন্দপুর গ্রামের একজনের জমিতে আশ্রিত হিসেবে থাকছে তার পরিবার। বাবা সফিকুল ইসলাম মারা গেছেন। পরিবারে মা, তিন বোন ও এক ভাই। ভাই পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার আয় দিয়েই চলে সংসার।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে অনলাইনে আবেদন করলে গত ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন আসপিয়া ইসলাম কাজল।১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন। ২৬ নভেম্বর জেলা পুলিশ লাইনে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন আসপিয়া। সবশেষ ২৯ নভেম্বর ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন সেন্ট্রাল হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেখানেও উত্তীর্ণ হন এই তরুণী।
পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হচ্ছে বলে নিশ্চিত জানতেন আসপিয়া ইসলাম।কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা না থাকার কারণে পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে যাওয়ায় তার চাকরি হচ্ছে না।
জৈনা বাজার মেসার্স হাফসা ট্রেডার্সের মালিক মেজবাহ উদ্দিন জানান, পুলিশের ভর্তি পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করার পরও, কেবলমাত্র ভূমিহীন হওয়ার কারণে চাকরি পাচ্ছে না আসপিয়া। অথচ সে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। বিষয়টি আমার হৃদয়ে স্পর্শ করেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাস্কর ও দুঃখজনক। আসফিয়ার চাকরিতে ন্যূনতম যতটুকু জমির প্রয়োজন তা আমি দেব। অথবা আসপিয়ার এলাকায় তা ক্রয় করে দেব।
বিএনএ/ওজি