বিএনএ, ফরিদপুর: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার্থে ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বিপণন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ থাকবে।
ফলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ৪ ইউনিয়নে মোট ৭২০ জন জেলের মাঝে ২৫ কেজি হারে ১৮ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছে। এই ২২ দিন জেলেরা যেন মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকে এই জন্য কাজ করছে চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জেলে এবং সাধারণ জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার টিম।
লিফলেট বিতরণ, পোস্টার, ব্যানার, মাইকিং ও জনসচেতনতা সভার মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সন্ধ্যার পর জেলেদের নিয়ে চরভদ্রাসন মাছ বাজারের পাশে মৎস্যজীবি সমিতির অফিসে জেলেদের নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আয়োজন করছে সচেতনতা সভা। আড়ৎদারদের সাথে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা। এলাকার প্রতিনিধিদেরকে জেলেদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাবার কাটা মাথা পতেঙ্গা সৈকতে ফেলেছি: শফিকুরের জবানবন্দি
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ও আমার টিম মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান- ২০২৩ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই ২২ দিনে পদ্মা নদীতে, মাছ বাজারে মোবাইল কোর্ট/অভিযান পরিচালনা করা হবে। আইন অমান্য করলে কমপক্ষে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
চরভদ্রানের সাধারণ জনগণ, জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্যজীবী সমিতি সকলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্মার্ট ইকোনোমিতে নিজেদের অবদান রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাইতো মা ইলিশ রক্ষায় হাতে হাত মিলিয়ে সবাই আজ একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
বিএনএনিউজ/ সাজ্জাদ হোসেন/ বিএম