বিএনএ ডেস্ক: মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সারাদেশে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে মণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
রোববার (১০ অক্টোবর ) সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়েছে। মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর রাজধানীতে পূজা হচ্ছে ২৩৮টি, যা গতবারের চেয়ে চারটি বেশি।
মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী এবং ১৪ অক্টোবর নবমী। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির এই শারদীয় উৎসব।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার ঘোড়ায় চড়ে দেবী দুর্গা আসছেন। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোড়ায় আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। দেবী দুর্গা এবার দোলায় চড়ে গমন করবেন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
পুরাণ মতে, প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন রাজা সুরথ। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে পূজার আয়োজন করেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র। যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।
এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজা হবে ২৩৮টিতে।
এদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থাকবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গণে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।
এছাড়াও পূজা উপলক্ষে মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা এবং বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার জন্যবলা হয়েছে।
অন্যদিকে, সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গোৎসব উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি