বিএনএ, চট্টগ্রাম: অপহরণকারীদের দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও শেষ রক্ষা হল না শিবলী সাদিকের । সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে কাউখালী উপজেলার গভীর জঙ্গল থেকে তার মরদেহের কংকাল ও পরনের কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ ।এদিকে গণপিটুনিতে মারা গেছে অভিযুক্ত যুবক।
১৪ দিন পর অপহরণ কারী চক্রের মূল হোতা উমংচিং মারমা (২৬) কে গ্রেফতার করে তার দেওয়া তথ্য মতে রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের আশরফ শাহ মাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কাউখালী উপজেলার গভীর জঙ্গল থেকে শিবলীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
গত ২৮ আগস্ট রাতে কদলপুরের একটি মুরগির খামার থেকে হৃদয়কে অপহরণ করা হয়। সে উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শফিক ড্রাইভারের ছেলে এবং কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, অপহরণের পর দাবি অনুযায়ী হৃদয়ের বাবা বান্দরবান এলাকায় ডুলাপাড়া নামক স্থানে গিয়ে দুইজন লোকের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। মুক্তিপণ দেওয়ার পরও হৃদয়কে অপহরণকারীরা মুক্তি দেয়নি। ১৪ দিন পর তার কঙ্কাল পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্ত উমংচিং মারমাকে নিয়ে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে। তারা ওই যুবককে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি।
এ দিকে বিভিন্ন সময় রাউজানের পাহাড়ী এলাকা ও সীমান্তবর্তী কাউখালী উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে রাউজানের অনেক যুবক, ব্যবসায়ী।
বিএনএ/ শফিউল আলম, ওজি