বিএনএ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বিশ্বের সমৃদ্ধির জন্য দু’দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোঁজ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে তিনি এই সফর করছেন। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
নয়াদিল্লি থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাঁর সফরে স্যাটেলাইটসহ দুটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ও একটি সম্মতিপত্র সইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে এসেছেন তিনি।
ভোঁজ সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের একাধিক সংকট মোকাবিলায় দু’দেশের অংশীদারিত্ব অর্থবহ শক্তি হতে পারে। ইন্দো-প্যাসিফিক এবং এর বাইরেও সবার অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ফ্রান্স বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। আমরা শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি।
ভোঁজ সভায় পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলের তোড়া দিয়ে ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সোমবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করবেন। এ সময় সমঝোতা স্মারক সই এবং পরে যৌথ প্রেস ব্রিফিং হবে। এর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অপরাহ্ণে তাঁকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রসফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনাহেনা
