বিএনএ, ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলে কর্ম-বিরতি শুরু করেছে প্রায় দুইশত ইন্টার্ন চিকিৎসক।এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্তে পুলিশকে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে এ কর্মবিরতি শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন জিলানী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মহিউদ্দিন জিলানী বলেন, আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসক সাজ্জাদ হোসাইনকে শহীদ মিনারে মারধরের ঘটনায় আমরা ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এ সময়ের মধ্যে হামলাকারিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো কিছুই করেনি। তাই আগের কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আজ বেলা ১২টা থেকে কর্ম বিরতি শুরু করেছি প্রায় ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি ছিল ওই চিকিৎসককে যারা মারধর করেছে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা। এছাড়া ভবিষ্যতে শহীদ মিনার এলাকায় এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে সেটা নিশ্চিত করা। এই হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়।
হাসপাতাল থেকে একটি সূত্র জানায়, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দুপুর থেকে কর্ম বিরতিতে আছে। হাসপাতালে জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। এছাড়া পুনরায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরিভাবে পরিচালকের কক্ষে আবার বসেছে।
ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্ম বিরতিতে যাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কারণ ইন্টার্ন চিকিৎসকের মারধরকারীকে এখনো পুলিশ খুঁজে পাইনি। তাদের দাবি ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম শেষ হলেই তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা। তবে আমরা সর্বাত্মক তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ টিটু মিয়া জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় কেউ এখনো শনাক্ত হয়নি। আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা। তবে ইন্টার্নদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যের ডিজি সবাই আলোচনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ জানান, শহীদ মিনারে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় খুবই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সিসি ফুটেজগুলো পর্যবেক্ষণ এবং হামলাকারীকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বিএনএ/আজিজুল, এমএফ