বিএনএ,সিলেট: সমুদয় স্ক্রাপ মালামাল বিক্রয়ের দরপত্র কয়েকদফা স্থগিত হবার পর অবশেষে চূড়ান্তভাবে বিক্রি হয়ে গেল দেশের প্রথম সরকারি সার কারখানা পরিত্যক্ত ঘোষিত ‘ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড’। যেটি ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা নামেই বহুল পরিচিত। দীর্ঘদিন থেকে যন্ত্রপাতি বিকল থাকা ও অব্যাহত লোকসানের মুখে ১৯৬১ সালে স্থাপিত কারখানাটি ২১১কোটি ৪২লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
বুধবার(১১আগস্ট) রাজধানীর শেওড়াপাড়ার মেসার্স সহিদুল রহমান নামক একটি প্রতিষ্ঠান ২১১ কোটি ৪২লাখ টাকায় সারকারখানাটির সব যন্ত্রপাতি বিক্রয়ের দরপত্রের সর্বোচ্চ দরদাতা ছিল।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নে ১৯৬১ সালে স্থাপন করা হয় ‘ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড’। জাপানের কোবে স্টিল কোম্পানি এটিকে জাপানি প্রযুক্তি দ্বারা নির্মাণ করে। শুরুতে এই কারখানা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হতো।পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে এ্যামোনিয়াম সালফেট প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়েছিল। এ ফ্যাক্টরীর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ লক্ষ ৬ হাজার মেট্রিক টন।
দেশের সারের চাহিদা পূরণে একসময় এই কারখানাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দিন দিন যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে যাওয়ায় ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ায় কমতে থাকে উৎপাদন। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সারকারখানাটি সংস্কার করে পুনরায় চালু না করে বিলুপ্ত ঘোষণা ও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ অবস্থায় পুরোনো কারখানাটির মালপত্র বিক্রির জন্য প্রথম লটে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহ্বান করে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি।
গত ১৪ অক্টোবর ২০২০ দুপুরে দরপত্র খোলা হয়। এতে অংশ নেন ৯টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ১০৩ কোটি ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন সিলেটের ‘মেসার্স আতাউল্লাহ’ নামক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা জমা দিতে পারেনি এই প্রতিষ্ঠান।বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের পিছিয়ে যায়।তৃতীয় দফায় বুধবার(১১আগস্ট) দরপত্র গ্রহণ ও খোলা হয়। এতে ১৪টি প্রতিষ্টান অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত: এই কারখানা বন্ধ করে একই এলাকায় শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি নামে আরেকটি কারখানা নির্মাণ করা হয়।
আগের খবর : ফেঞ্চুগঞ্জ ‘এনজিএফএল’এর দরপত্র দাখিলের আগ মুহুর্তে স্থগিত রহস্যজনক!
বিএনএনিউজ২৪, জিএন