19 C
আবহাওয়া
২:১৩ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আজ থেকে ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু

আজ থেকে ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু


বিএনএ, ঢাকা: ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আজ থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় লেনদেনে ব্যবহার হবে রুপি। এ বিষয়ে দুই দেশের প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ। তবে রুপিতে যে পরিমাণ রপ্তানি আয় হবে; শুধু সমপরিমাণ আমদানি দায় মেটাতে ভারতীয় এ মুদ্রা খরচ করা যাবে।

কোনো ব্যাংক বা ব্যবসায়ী ডলার কিংবা অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে রুপি কিনে আমদানি দায় নিষ্পত্তি করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রুপিতে লেনদেনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এর উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ অংশে সোনালী, ইস্টার্ন ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে এ বাণিজ্য হবে। ভারতের অংশে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগ আমদানিকারকদের ডলারের চাপ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দেবে। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্যের একটি অংশ আমদানি করতে রুপিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবেন। এভাবে শুরু হলে মার্কিন ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যাবে।

মার্কিন ডলার ঘাটতির কারণে সরকার আমদানি বিধি কঠোর করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে আমদানি বিল পরিশোধ এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি অফিস ইতোমধ্যে ভারতীয় আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং এসবিআইর সঙ্গে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলেছে। রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক দ্রুততম সময়ে অ্যাকাউন্ট খুলবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) উভয়ই ভারতীয় রুপিতে (আইএনআর) দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তি শুরু করতে দুটি ভারতীয় ব্যাংককে অনুমতি দিয়েছে।

নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশের দায়-দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রেতার এলসি মূল্য পরিশোধ করা হয়। আবার রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের অর্থ ওই নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে যোগ হয়।

মার্কিন ডলারের ঘাটতি থেকে উদ্ভূত বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে চলমান সংকট বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিবেশী দেশের মুদ্রা ব্যবহার করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তি করতে প্ররোচিত করেছে। নতুন ব্যবস্থার ফলে ভারতের সঙ্গে ২০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি আয়ের সমান।

গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, বাংলাদেশ রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাইছে। এটি রপ্তানি আয়ের সমপরিমাণ অর্থের। ভারত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানির চেয়ে আমদানি অনেক বেশি। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের আমদানির বিপরীতে রপ্তানি হয় ২০০ কোটি ডলারের পণ্য।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ