বিএনএ, ডেস্ক :আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। প্রায় দেড় বছর পর করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে । ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই সংক্রমণ বাড়ছে।তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সতর্ক থাকতে হবে।
আইসিডিডিআরবি’র তথ্য মতে, চলতি বছর সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো করোনার নতুন দুটো সাব-ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি এবং এক্সএফসি। এইগুলো ওমিক্রন জেএন.১ -এর একটি উপ-শাখা। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এক্সএফজিতে। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এ বছর করোনা ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। যারা টিকার তিন ডোজ নিয়েছেন তারাও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবেন। এ কারণে করোনা প্রতিরোধে ত্রিমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এখনই। বিমানপথ, নৌপথ, স্থলপথ দিয়ে যারা বিদেশ থেকে আসবেন, তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ দিকে সতর্কমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার সব স্থল, নৌ এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে। বিদেশফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত গমন না করার পাশাপাশি বাস, ট্রেন ও পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ জন। মে মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে। আর জুন মাসের প্রথম ৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন, এবং একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
২০২০ সালের ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ই মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে গত সোমবার পর্যন্ত দেশে মোট ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনের। ২০২৪ সালে কেউ মারা না গেলেও ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২২ সালে এক হাজার ৩৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিএনএ/ ওজি