25 C
আবহাওয়া
২:৫৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া যমজ ভাইয়ের দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী

মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া যমজ ভাইয়ের দায়িত্ব নিলেন মন্ত্রী

যমজ

কুমিল্লা প্রতিনিধি: সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের অটোরিকশা চালকের সেই দুই মেধাবী ছেলের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। ওই দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচ বাবদ তৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার মনোহরগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মন্ত্রীর পক্ষে তাদের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেন কুমিল্লা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম।

সরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামের অটোরিকশা চালক বিল্লাল মিয়ার দুই মেধাবী যমজ সন্তান আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন।

আরিফ হোসেন ৮২২তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ও শরিফ হোসেন ১১৮৬তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ দুই মেধাবীর অভাবনীয় সাফল্যের খবরে আনন্দের বন্যা বইলেও ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। গণমাধ্যমের সংবাদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর নজরে আসে।

যমজ দুই ভাই আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন জানায়, আমাদের এ সাফল্যের খবরে এলাকার কৃতি সন্তান ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম অতীতের মতো আবারো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই জন্য আমাদের পরিবার মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।

অটোরিকশা চালক বিল্লাল মিয়া জানান, ‘মন্ত্রী মহোদয় মো. তাজুল ইসলাম আগেও আমার দুই ছেলের লেখাপড়ার জন্য সহায়তা করেছেন। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে তিনি ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। আরো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য আমরা আনন্দিত ও মন্ত্রীর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। মন্ত্রীর নেক হায়াত ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’

মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম জানান, দরিদ্রতার মধ্যেও লড়াই করে আরিফ ও শরিফের এ সাফল্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে। এটা সমাজের জন্য অনুকরণীয়। তাই আমাদের প্রিয় নেতা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তাদের জন্য ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন।

এ বিষয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অর্থাভাবে কারো লেখাপড়া বন্ধ হয়নি। শিক্ষার সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সহায়তায় এ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ