বিএনএ ডেস্ক: ব্রয়লার মুরগি বা তেলাপিয়া মাছের মতো পণ্যের দাম বেড়েছিল আগেই। রোজায় যেসব পণ্যের ব্যবহার বেশি, এবার বাড়তে শুরু করেছে সেসব পণ্যের দাম। প্রতি বছর রোজার আগে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার আশ্বাস যেমন কাজে আসে না, সে পরিস্থিতির ব্যতিক্রম নয় এ বছরও। তাতে রোজার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই খরচের হিসাবের লাগাম টানা আরেকটু কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে এই পণ্যগুলোর প্রতিটিরই বাড়তি চাহিদা থাকে বাজারে। সেই রমজানের সপ্তাহ দুয়েক আগে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই দাম শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা নিয়েই শঙ্কা তাদের। ক্রেতাদের দুশ্চিন্তাও কম নয়।
অনেকে বাজারে গিয়ে দরদাম করে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ দাম একটু কমার অপেক্ষা করছেন। তবে আগের বছরগুলোর মতো এবারও যে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন থাকবে, সেটি ভেবেই শঙ্কিত তারা।
রমজানের বাড়তি চাহিদার এসব পণ্যের পাশাপাশি অন্য পণ্যগুলোর অবস্থাও সুস্থির নয়। আগে থেকে বাড়তি চিনি, তেল, আটা-ময়দার দাম কমেনি। গত কয়েক মাস ধরেই বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে তেল-চিনি মিলছে না। বেঁধে দেয়া দামে প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১১৭ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। একইভাবে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত ১৬৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়। খোলা চিনির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দাম ১০৭ টাকা হলেও এখনো খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দামে।
এদিকে মসলার বাজারে আদা-রসুনের বাড়তি দাম কমেনি। উল্টো পেঁয়াজের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংস আরও আগেই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে ছুটেছে। সে ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। এক-দেড় মাস ধরেই অস্থির ব্রয়লার মুরগির বাজার, যা দফায় দফায় বেড়ে শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৫৫ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।
এক মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মানভেদে রুই-কাতলের কেজি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া-পাঙ্গাশও ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে সবজির বাজারে ইফতার শুরুর আগেই বেড়ে গেছে লেবুর দাম। এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। একই কারণে বাড়ছে বেগুনের দামও। গোল বেগুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ