27 C
আবহাওয়া
১২:১১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রাম-৮(বোয়ালখালী)আসনে শিরিন আহমদই কী নৌকার কান্ডারী?

চট্টগ্রাম-৮(বোয়ালখালী)আসনে শিরিন আহমদই কী নৌকার কান্ডারী?

বোয়ালখালীতে শিরিন আহমদই কী নৌকার কান্ডারী?

।। বাবর মুনাফ ।।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি’র মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ আংশিক) আসনে কে হতে যাচ্ছেন নৌকার কান্ডারী ? এ নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। উপ-নির্বাচনে নৌকার টিকেট পেতে দৌড়ঝাঁপে আছেন বেশ কয়েকজন। জাসদ নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল এমপি’র মৃত্যুতে উপ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মঈন উদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর ওই আসনের (চট্টগ্রাম-৮) ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবু সুফিয়ান।

এর  আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পটিয়া (চট্টগ্রাম-১২) থেকে নৌকার টিকেটে নির্বাচন করে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান মোছলেম উদ্দিন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান।

স্বাভাবিকভাবে কোন আসনের সংসদ সদস্য মারা গেলে বা অন্য কোনভাবে আসনটি শূন্য হলে ৩ মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুর পর সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা সাপেক্ষে এই আসনে শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে ফের উপ-নির্বাচন। কে হচ্ছেন সেখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। এ নিয়ে ইতোমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকা।

নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ আংশিক) আসনে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, কুয়েতের সাবেক রাষ্টদূত এস এম আবুল কালাম অতীতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন।

মোছলেম উদ্দিন আহমদের স্ত্রী শিরিন আহমদের নামও সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় সবার মুখে মুখে এখন আলোচনা হচ্ছে। তিনি স্বামীর (মোছলেম উদ্দিন) অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী বলে জানা যায়।

শোনা যাচ্ছে মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদলের নামও।

আলোচনায় আরও আছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম নগর আ’লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম। তিনি চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকার বাসিন্দা। সে হিসেবে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় তার নাম সবার শীর্ষে। এলাকায়ও তাঁর সুনাম যথেষ্ট।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নামও আলোচনায় রয়েছে। যদিও কুয়েতের সাবেক রাষ্টদূত এসএম আবুল কালামও ওই আসনের উপ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামী লীগের কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা জানতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।

আসনটির সাথে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ড যুক্ত থাকায় নগর রাজনীতির দিক থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও সংলগ্ন উপশহর (বোয়ালখালী) কাছাকাছি হওয়ায় নগর রাজনীতিতেও এ আসনের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

এ আসনের সাবেক এমপি মনজুর মোরশেদ খান বিএনপির সময়কালে (১৯৯১-১৯৯৬) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাধারণ ভোটারদের একটাই চাওয়া-যিনি কালুরঘাট সেতুর দাবি আদায় ও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম এমন নেতাকে প্রার্থী হিসেবে চান তারা।

অনেকেই বলছেন- শিরিন আহমদ, আ জ ম নাছির উদ্দিন ও আবদুচ ছালামের মধ্যে যে কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন। ছালাম আগেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

বোয়ালখালী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ (আংশিক) আসনটির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল হতে জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ (চট্টগ্রাম-৮) নির্বাচনে জয়ী হন জহুর আহমেদ চৌধুরী। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম এমপি ছিলেন কফিল উদ্দিন, ১৯৭৯ সালে (জাতীয় আসন ২৯০, চট্টগ্রাম-১০) সিরাজুল ইসলাম, ১৯৮৬ সালে মনজুর মোরশেদ খান, ১৯৮৮ (চট্টগ্রাম-১০) বেগম কামরুন নাহার জাফর, ১৯৯১ সালে সিরাজুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালের দুটি নির্বাচনে মনজুর মোরশেদ খান, ২০০১ সালের নির্বাচনে মনজুর মোরশেদ খান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে মঈন উদ্দিন খান বাদল, ২০১৪ সালের নির্বাচনে মঈন উদ্দিন খান বাদল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মঈন উদ্দিন খান বাদল, ২০২০ সালের উপ-নির্বাচনে মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ছাড়া বোয়ালখালী উপজেলা, চসিকের ওয়ার্ড নং- ৩, ৪, ৫, ৬, ও ৭ নিয়ে জাতীয় সংসদের ২৮৫নং, চট্টগ্রাম-৮ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১শত ৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫শত ৩০ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬ শত ১৫ জন।

বিএনএ/জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ