বিএনএ, (সাভার) ঢাকা: ঢাকার সাভার পৌরসভা এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম অনুযায়ী স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। পরে পুলিশ আলোচনার আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থানরত ভর্তিচ্ছু ৬১ জন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১০ টার দিকে স্কুলের সামনে সাভার থানা রোড বন্ধ করে দেয় তারা।
অবস্থানরত অভিভাবকদের দাবি, তারা ওই স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করিয়েছে। বাচ্চারা ৫ম শ্রেণি শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেও এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু এবার প্রায় ৬১ জন সন্তান সেখানে ভর্তি হতে পারছে না। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) ভর্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তি করছে না। তাই সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় রাস্তায় নেমেছেন তারা।
তারা বলেন, একজন পুলিশ ভাই এসে আমাদেরকে সরিয়ে দেয়। আমরা তো আর এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে এসেছি। পরে পুলিশের আশ্বাসে আমরা সরে যাই৷
শিক্ষার্থী দিহানের বাবা দাউদ বলেন, আমাদের দাবি একটাই আমাদের সন্তান সাভার অধর চন্দ্র হাই স্কুলেই ভর্তি হতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সংসদ সদস্যের কাছে গিয়েছিলাম। তিনিও কিছু করতে পারেনি। আবার অনেকেই বলছে এই স্কুল অন্য স্কুল। আমাদের বাচ্চাদের যেখানে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়িয়েছি সেটা নাকি অধর চন্দ্র স্কুল না। তবে আমার একটা কথা আমার ছেলের সার্টিফিকেটে অধচন্দ্র লিখা, আমার ছেলের ড্রেসে অধচন্দ্র লিখা সব কাগজে অধচন্দ্র লিখা। তাহলে কিভাবে এই স্কুল অধরচন্দ্র হয় না। আমরা বিষয়টি কথা বলবো কার সাথে তাই আজ রাস্তায় এসেছি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ এসআই জাহিদ সাহেব আমাদের ১০ মিনিটের কথা বলে চলে গেছেন। আমরা তার কথায় রাস্তা থেকে উঠে এসেছি। পরে আর তাকে পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ বলেন, যখন খবর পাই তখনই গিয়ে তাদেরকে (শিক্ষার্থী ও অভিভাবক) আলোচনার আশ্বাস দেই। আসলে এভাবে রাস্তায় বসে তো আর সব কিছুর সমাধান হয় না। তাই তাদের আলোচনা আশ্বাস দিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেই। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।
বিএনএ/ ইমরান, এমএফ