বিএনএ,ঢাকা: আগামি ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।এর দুই দিন পর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়ার হাউস থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী তা দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আরও বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নতুন তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ দেয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।সে কারণে প্রথম চালানে পাওয়া ভ্যাকসিন প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে দেয়া হবে। এর আগে জানানো হয়েছিল, প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। সে হিসেবে প্রথমে ২৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা ছিল।কিন্তু নতুন নিয়ম জানার পর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।যে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন প্রথম আসবে তা দিয়ে দেয়া হবে।দুই মাসের মধ্যে আরও ভ্যাকসিন চলে আসবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, প্রথম দফায় আসা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখভাগের যোদ্ধারা অগ্রাধিকার পাবে।এর মধ্যে সরকারী জরুরি কাজে নিয়োজিতদের পাশাপাশি রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধিরাও।বয়স্ক ব্যক্তিদেরও গুরুত্ব দেয়া হবে। ১৮ বছরের নিচে কাউকে ও গর্ভবতীদের টিকা দেয়া হবে না।২৬শে জানুয়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশান প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় অতিরিক্ত জনসমাগমের আশঙ্কার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন,এই অতিরিক্ত জনসমাগমের চাপ সামলাতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এরজন্য দুটো প্ল্যান নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম সফল করতে জনসমাগ না করার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বলেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছবে ২৭ জানুয়ারি।এরপর কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবকদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে।এক সপ্তাহ পর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/জেবি,আরকেসি
