বিএনএ,ঢাকা:গুটিকয়েক মানুষ নিজেদের লোভ সংবরণ করতে পারেনি বলেই আন্তর্জাতিক মহল পদ্মাসেতু প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যার আঘাত পুরো দেশের ওপর এসেছিল বলেও জানান তিনি।
সোমবার(১১ জানুয়ারি)গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,পদ্মাসেতু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশেরই কিছু স্বনামধন্য মানুষ।এটি দুর্ভাগ্যের বিষয়, সামান্য একটা ব্যাংকের এমডি পদের লোভে এত বড় প্রকল্প নিয়ে, সার্বিক উন্নয়নের বিরাট সুযোগ সৃষ্টিতে বাধা দেয়া হয়েছিল।একটা আঘাত এলে মানুষ নতুন কিছু শেখে।সে সময় সরকারও তাই করেছিল।জনগণ সঙ্গে ছিল বলেই শত বাধা উপেক্ষা করে এটি বাস্তবায়নে সরকার সফল হয়েছে।বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে চেনে।সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে সম্মান জানায়।যেটি অতীতে ছিলনা এবং বাংলাদেশ নাম বললেই ঝড়, বন্যা আর দারিদ্রের দেশ বলে বিশ্বে অনেকে মনে করতো।শত বাধা পেরিয়ে আত্মমর্যাদা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন,এখন আর বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারে না।উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্বাক্ত করেন সরকার প্রধান।
আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশের সেবা করার জন্য সুযোগ দেয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ দীর্ঘকাল দেশ পরিচালনার সুযোগ পাওয়াতেই বাংলাদেশ আজ মর্যাদাপূর্ণ, স্বনির্ভর এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে।যতটুকু আছে তা নিয়েই দেশের যে বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের কর্মক্ষম করে তোরা হবে।বাংলাদেশে আর একটি মানুষও গৃহহীন থাকবেনা,সকল ঘরে বিদ্যুতের সেবা পৌঁছে দেয়া হবে।প্রত্যেক ঘরে আলো জ্বালবে।জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে মৌলিক চাহিদাগুলো সরকার পূরণ করে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।দেশকেও এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পরে যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ পুনর্গঠনকালে সেই যে বলেছিলেন-এই দেশের মাটি এবং মানুষ রয়েছে, তা দিয়েই তিনি দেশকে গড়ে তুলবেন-সেকথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।এছাড়া, করোনার কারণে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ঘটা করে করা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের শুরুতে সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন বছরে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন চলমান থাকার পাশাপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সমাগত হওয়ায় এটিকে জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি