18 C
আবহাওয়া
৮:২৪ পূর্বাহ্ণ - জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » রাবিতে পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন

রাবিতে পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন

বিএনএ, রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা ইস্যুতে ওপেন ডিবেটের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে পোষ্য কোটার পক্ষে থাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডিবেটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা।

তবে কোটার পক্ষে যুক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী। নির্ধারিত সময়ের পর পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন সম্পন্ন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের উত্তর পাশে প্যারিস রোডে পোষ্য কোটার একটি প্রতীকী দাফন এবং মোনাজাত করা হয়।

এর আগে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী মাইকিং করে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিতর্কে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪ টার দিকে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম পিটার, রাজশাহীর স্থানীয় একজন রিকশাচালক এবং ক্যাম্পাসের একজন ব্যবসায়ী।

পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন করে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ বলেন, “১৯৭৭ সালে পোষ্য কোটা চালু হয়েছিল। আমরা একটি প্রতীকীর মাধ্যমে আজ কবর রচনা করলাম। আমরা বিশ্বাস করি এ কবর রচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী—যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়, তাদের সুবুদ্ধির উদয় হবে।”

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “পোষ্য কোটা বাদ দেয়া আমাদের যৌক্তিক একটি দাবি ছিল। এ আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক কিছু নেই। কিন্তু এ কোটার পক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতপন্থী শিক্ষক তারা সবাই এক। যাদের কাঁধে হাত রেখে আমরা জুলাই  আন্দোলন করেছিলাম—তারা এখন এ পোষ্য কোটা আন্দোলনে নেই। বিষয়টি আমাদের খুবই হতাশ করেছে।”

বিএনএনিউজ২৪,সৈয়দ সাকিব, এসজিএন/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ