বিএনএ,চট্টগ্রাম: আবারও ছূড়ায় উঠেছে পেঁয়াজের দাম । আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ভারত পেয়াঁজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় দেশে পেঁয়াজের দাম দুইশ ছাড়িয়ে গেছে।এমন পরিস্থিতিতে তরকারিতে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে পেয়াঁজ কলি ব্যবহার করা যায়। যার ফ্লেভার পেয়াঁজের মতো । এক কেজির দাম ৫০ টাকা। বাজারে এ সময় প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কলি পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু এই সবজিটি পুষ্টিগুণে অনন্য। ফ্রাইড রাইস, সালাদ, স্যুপ, সবজি কিংবা ভিন্ন স্বাদের তরকারি রান্না করেও খাওয়া হয় এই সবজিটি দিয়ে।
বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষ এবং বীজ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত ভালো। দেশে প্রায় সব মসলা ফসলের চাহিদা উৎপাদনের চেয়ে কম। তাই উন্নত পদ্ধতিতে উন্নত জাত ব্যবহার করে চাষ করলে ভালো বাজার মূল্য পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পেঁয়াজের তিনটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এতে অনেক সাফল্য এসেছে। জাতগুলো হচ্ছে বারি পেঁয়াজ-২, বারি পেঁয়াজ-৩ এবং বারি পেঁয়াজ-৫।পেঁয়াজের চাষ বেলে দোঁ-আশ বা পলিযুক্ত মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য খুব ভালো। দিনের আলো, সহনশীল তাপমাত্রা ও মাটিতে প্রয়োজনীয় রস থাকলে পেঁয়াজের ফলন খুব ভালো হয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক পেঁয়াজ কলির ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে———-
*পেঁয়াজ কলিতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলি, অন্ত্র এবং মূত্র প্রদাহ রোধে কাজ করে।
* ক্ষত থেকে রক্তপাত বন্ধ এবং সেই ক্ষতকে ইনফেকশন মুক্ত রাখার জন্য পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
*টাইফয়েড, ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ, ফুড পয়জনিং এবং দেহের দুর্গন্ধ রোধে পেঁয়াজ কলি অনেক উপকারী।
* পেঁয়াজ কলিতে বেদনা উপশমকারী উপাদান থাকায় এটি দ্রুত মাথা, মাংসপেশি এবং হাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
* অ্যান্টি-পাইরোটিক উপাদান থাকায় খাবারে পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করলে বা পেঁয়াজ কলির স্যুপ খেলে জ্বর দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
বিএনএ/,রেহানা, ওজি