বিএনএ,সাভার: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যখনই কোনো নির্বাচন আসে, তখনই সারা বাংলার মানুষের সাথে প্রতারণা করে। দেশের দুঃসময় আসলেই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের রেডিও কলোনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আওয়ামী লীগের সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থানা কমিটি আয়োজিত প্রতিবাদী জনসভায় এসব কথা বলেন মির্জা আজম।
তিনি বলেন, সাভার আশুলিয়া ধামরাই থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই সমাবেশের লক্ষ্য বিএনপি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সেই ১৯৯১ সালে নির্বাচনের আগে এই দেশের মানুষের সাথে বেইমানি করে খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাবে। মসজিদে উলুধ্বনি আসবে। ফেনীর অংশ ভারতের হয়ে যাবে। এসব মিথ্যাচার করেছিল।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি হলো ৭১ এর সেই রাজাকার, আল বদর, আল শামস স্বাধীনতা বিরোধী সকল দলের প্ল্যাটফর্ম। আজকে ১৪ বছর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। সেই ১৪ বছর আগে বাংলাদেশ কি ছিল।
মির্জা আজম বলেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী শপথ নেন। সেদিন বাংলাদেশ কোথায় ছিল। সেই দেশ ছিল সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪০ ডলার।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমি যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাই, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবো। দেশকে ডিজিটাল করবো, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিবো।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যা বলেন। তা তিনি করেছেন। ১৪ বছরে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ তারপর মধ্যম আয়ের দেশ। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ৷ মাথাপিছু আয় ২১০০ ডলার।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ১৪ বছর আগে ছনের ঘর ছিল। এমন ঘর এখন পাওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের কোথাও এমন ঘর খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, আগে যখন রাজনীতি করতাম। আমার এলাকার মানুষ বলতো, আজম ভাই বিদ্যুৎ চাই, পাকা রাস্তা চাই। আমরা দিতে পারতাম না।
মির্জা আজম বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা লক্ষ লক্ষ পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছেন। আজ প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুতের বাতি আছে। যে গ্রামে এগুলো আছে। সেই গ্রাম গ্রাম নেই। শহর হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। সেই সেতুর বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর করতে চান। আমেরিকায় রুপান্তর করতে চায়, ইউরোপে রুপান্তর করতে চায়। আমরা তাহলে হবো উন্নত দেশের নাগরিক।কিন্তু বিএনপি এসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তারা বলেছিল নভেম্বরের মধ্যে দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। নভেম্বর ছাড়িয়ে ডিসেম্বর এসেছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি।
মির্জা আজম বলেন, তারা বলছিল ১০ই ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলবে। ১১ তারিখ খুনি তারেক রহমান আসবেন। কোনো নির্বাচন নয়। বিমানবন্দর থেকে সোজা বঙ্গভবন যাবে। আজকে দশ তারিখ। মির্জা ফখরুল ও আব্বাস এখন কারাগারে।
তিনি বলেন, আজকে ১০ তারিখ। ঢাকা শহরে বিএনপি খুঁজে পাওয়া যায় না। মির্জা ফখরুল মির্জা আব্বাস কারাগারে বসে আছে। বিএনপি সমাবেশ করছে। বিদেশ থেকে ওহি নাজিল হবে। শেখ হাসিনাকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে তারা গদিতে বসে পড়বেন। আজকে তাদের সমস্ত ভন্ডুল হয়েছে। তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না। গুজবে কান দেবেন না।
জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, বাহাউদ্দিন নাছিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এনামুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি