বিএনএ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানবাধিকার সুরক্ষায় বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশন দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে কমিশনকে আধুনিক করা ও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোসহ সব ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে পূর্বের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়। ১৯৯৮ সালে এ সংক্রান্ত একটি কমিশন গঠনের জন্য খসড়া আইন প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করি এবং সে অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে বলে জানান তিনি।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মানবাধিকার বৃত্তি দেয়ার উদ্যোগ নেয়ায় কমিশনকে অভিনন্দন জানান তিনি। শিশুদের শৈশব থেকেই মানবাধিকারের চর্চার জন্য বর্তমান কমিশনের ‘মানবাধিকার কোর্স’ চালু একটি শুভ পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কমিশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল ইনকোয়ারি হচ্ছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সুফল দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণও ভোগ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশকে ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বর্তমান সরকারের ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন। মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বারবার কারাবরণ করেছেন তিনি। জাতির পিতা চেয়েছিলেন শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, যেখানে প্রত্যেকে মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পাবে। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যথার্থই বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সংগ্রাম ন্যায় ও শান্তির জন্য সার্বজনীন সংগ্রামের প্রতীক স্বরূপ। সুতরাং, বাংলাদেশ শুরু থেকে বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তার সে আহ্বান আজও সমানভাবে প্রযোজ্য, এজন্য বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের যেকোনো উদ্যোগে সমর্থন ও নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এছাড়া, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
