26 C
আবহাওয়া
৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুমার দিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

জুমার দিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

জুমা

ধর্ম ডেস্ক: ইসলামে জুমাবার একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)। হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে।’ (মুসলিম: ৮৫৪)

জুমার দিনে মহানবী (স.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলিম উম্মাহর বিশেষ কিছু করণীয় আমল রয়েছে। এর মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অর্জন বিশেষ এক আমল। নিচে এ সম্পর্কিত হাদিসের নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হলো।

মেসওয়াক করা
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মেসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সে সুগন্ধিও ব্যবহার করবে। (সহিহ মুসলিম: ১৮৪৫)

গোসল করা
জুমার দিনে বিশেষভাবে গোসল করার তাগিদ এসেছে হাদিসে। সালিম (রহ.) থেকে তাঁর পিতার সূত্র থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (স.)-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি জুমার নামাজে আসে সে যেন গোসল করে আসে। (জামে তিরমিজি: ৪৯২)

পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর কাপড় পরিধান করা
আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করে, উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তার উৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করে এবং আল্লাহ তার পরিবারের জন্য যে সুগন্ধির ব্যবস্থা করেছেন, তা শরীরে লাগায়, এরপর জুমার সালাতে এসে অনর্থক আচরণ না করে এবং দুজনের মাঝে ফাঁক করে অগ্রসর না হয়, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ ক্ষমা করা হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ১০৯৭)

সুগন্ধি ব্যবহার করা
অন্য দিনের চেয়ে জুমার দিন বেশি সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, জুমার দিন সুগন্ধি পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করবে। (সহিহ বুখারি: ৮৮০)

মসজিদে সুগন্ধি লাগানো
ওমর (রা.) জুমার দিন দ্বিপ্রহরে মসজিদে সুগন্ধি লাগানোর জন্য আদেশ করেছেন। এছাড়াও যেকোনো সময় মসজিদে সুগন্ধি লাগানো উচিত। রাসুলুল্লাহ (স.) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করতে হুকুম দিয়েছেন। (ইবনু মাজাহ: ৭৫৯)

উল্লেখ্য, জুমার নামাজ ছাড়াও যেকোনো নামাজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পূত-পবিত্র হয়ে নামাজে দাঁড়ানো উচিত। কারণ নামাজ হলো বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সাক্ষাৎস্বরূপ। তাই মহান প্রভুকে হাজিরা দেওয়ার জন্য গুরুত্ব সহকারে, পরিপাটি হয়ে, উত্তম পোশাকে নামাজ আদায় করা বাঞ্ছনীয়। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার দিনের বিশেষ আমল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অর্জনের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ