বিএনএ ডেস্ক: নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জামায়াতের আমিরের ছেলে রাফাত সাদিক শফিউল্লাহ চৌধুরী পবিত্র কোরআন শিক্ষার আড়ালে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। বুধবার সিলেট থেকে ডা. রাফাত সাদিক শফিউল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত। তার পিতার সংগঠন জামায়াতের সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা বা তাদের নির্দেশে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হয়েছিলেন কি না তা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ডা. রাফাত দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের ধর্মভীরু যুবকদের জিহাদ ও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। পবিত্র কোরআন প্রশিক্ষণের আড়ালে জঙ্গিবাদের দীক্ষা দেয়া হচ্ছিল। এমনকি তারা বেশ কয়েকজন জিহাদে উদ্বুদ্ধ যুবককে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণও দিয়েছে। সেই বোমা বানানোর কারিগরকে শনাক্ত করা হয়েছে দাবি করে আসাদুজ্জামান জানান, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে সাত তরুণ কথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়ার পর নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার নাম সামনে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গত দুই বছরে এই সংগঠনের হয়ে অন্তত ৭০ জন তরুণ কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়েছে। তারা পাহাড়ে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের আশ্রয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, হরকাতুল জিহাদের জেলবন্দি এক শীর্ষ নেতা মাওলানা আবু সাঈদের নেতৃত্বে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একই প্ল্যাটফর্মে আসার জন্য নতুন এ জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে। বাইরে থেকে এই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে কাজ করছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক শামীন মাহফুজ। জামায়াত আমিরের ছেলে ডা. রাফাতও এ সংগঠনের অন্যতম একজন মাস্টারমাইন্ড বা শীর্ষ নেতা বলে দাবি করে সিটিটিসি।
বিএনএ/এ আর