বিএনএ ঢাকা: করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামি রোববার থেকে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ঘাটতি পূরণে পাঠদান কার্যক্রম চলবে। তবে কোন পরীক্ষা হবে না।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। গাইডলাইন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলগামী হয়, সেই জন্য শিক্ষার্থীদের স্কুলে অবস্থানটা আনন্দময় করা হবে। দীর্ঘদিন স্কুলে না আসায় শিক্ষার্থীদের মানসিক জড়তা তৈরি হয়েছে। তা কাটানোর জন্য প্রথমদিন খেলাধুলার ব্যবস্থা ও সার্বিক খোঁজখবর নেয়া হবে।
সাক্ষরতা পরীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আসা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি বের করা হবে। এ ক্ষেত্রে ভাষা ও গণিতের জ্ঞান বা বাংলা, ইংরেজি এবং অংকের বিষয় বেছে নেয়ার কথা জানানো হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের ৩ ভাগ করা হবে। এগুলো হচ্ছে, মধ্যম মানের চেয়ে ভাল, মধ্যম এবং মধ্যম মানের নিচে। মধ্যম মানের নিচে অবস্থানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেবেন।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্লাস হবে। এখন শুধু ক্লাসের প্রতিই জোর দেয়া হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়নের কথা আগে থেকে আছে। তাই কোনো পরীক্ষা না নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্লাসে শিক্ষক শুধু শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি