ঢাকা : দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।। শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।বঙ্গভবন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল শনিবার বেলা ১২ টায় বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য পাঁচ বিচারপতি হলেন এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী আইন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্রগুলো প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।
এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে হাইকোর্টের সামনে বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে নেওয়া অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম একজন ফ্যাসিবাদের দোসর, তাকে ছাত্র-নাগরিকরা প্রত্যাখ্যান করছে। অনতিবিলম্বে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সৈয়দ রিফাত হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার রক্ত ও তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছি। এটি আমাদের প্রাথমিক বিজয়। তিনি যখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তখন একটি গোষ্ঠী আবারও উঠে পড়ে লেগেছে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
বিশ্বব্যাপী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। দেশে-বিদেশে যেকোনও ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা ঘুরিয়ে দেবো।’
প্রধান বিচারপতির জীবনবৃত্তান্ত
সৈয়দ রিফাত আহমেদ (জন্ম: ২৮ ডিসেম্বর ১৯৫৮) বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি। ইতিপূর্বে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
সৈয়দ রিফাত আহমেদ ২৮ ডিসেম্বর ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ব্যারিস্টার ও বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল তার মাতা সুফিয়া আহমেদ জাতীয় অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক ছিলেন।
রিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অফ টাফ্টস ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
সৈয়দ রিফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি হংকং এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন।তিনি ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন।
বিএনএ/ওজি/এইচমুন্নী, এসজিএন