বিএনএ, ঢাকা: ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ইয়াছিন রহমান টিটুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে টিটুর করা আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে টিটুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতেই হবে।
আদালতে ইয়াছিন রহমান টিটুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ও সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
নিহত জিবরানের বাবা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিচালক। চাকরির সুবাদে জিবরান তার স্ত্রী তিতলী নন্দিনীকে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন।
এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি টিটু চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপ কেডিএসের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমানের ছেলে।
১৯৯৯ সালের ৯ জুন চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট এলাকায় একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁর সামনে খুন হন একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিবরান। ঘটনার পরদিন ডাবলমুরিং থানায় জিবরানের সহকর্মী জেমস রায় একটি মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকতা আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এই আটজন হলেন- ইয়াছিন আলী টিটু, মো. ওসমান আলী, আলী আকবর ওরফে দিদারুল আলম, জিল্লুর রহমান, জাহিদ হোসেন ওরফে কিরণ, মো. সিদ্দিক, ওমর আলী ও আলমগীর।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল এ মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে টিটু, ওমর আলী ও আলমগীরকে খালাস দেয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ হাই কোর্ট পলাতক টিটুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া ওমর আলী ও আলমগীরকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হাই কোর্ট। তবে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া মো. সিদ্দিককে উচ্চ আদালতের রায়ে খালাস দেওয়া হয়।
হাই কোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টিটু। ১৭ অক্টোবর কারাগারে থেকেই তিনি আপিলের আবেদন করেন।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনাহেনা