বিএনএ, সীতাকুণ্ড: মধ্যরাতে সমানতালে চলছিল শতবর্ষীয় পুকুর ভরাট কাজ। পৌনে দু’একরের পুকুরটি ভরাটে সমানতালে ড্রাম ট্রাকে করে মাটি এনে ফেলছিলেন ভরাটকারিরা। কিন্তু ভরাট কাজে বাদ সাধলেন উপজেলা প্রশাসন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয় ভরাট কাজ। পাশাপাশি ভরাট কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর, একটি স্টেপ পেলোডার ও তিনটি ডাম ট্রাক জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাত ১১ টায় উপজেলার পৌরসদরস্থ উত্তর বাজারের ভূঁইয়া টাওয়ার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.আশরাফুল আলম, সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী সহ প্রমুখ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রায় পৌনে দুই একর আয়তনের একটি পুকুর ভরাট হচ্ছে জানতে পেরে রাত ১১টার দিকে আমি ও সহকারী কমিশনার ভূমিসহ সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানকালে পুকুরটি ভরাটের হাতেনাতে প্রমাণ পাই। অভিযানকালে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভরাট কাজে জড়িতরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটি এক্সকাভেটর, একটি স্টেপ পেলোডার ও তিনটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে । শুনানি শেষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পুকুরটি ভরাটের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তাদের অভিমত একে একে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের সবকটি পুকুর ভরাট করা হয়ে যাচ্ছে। নিকট অতীতে ওইখানের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পানি সংকটে পড়তে হয়েছে। ফলে অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আবার একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে একটি শতবর্ষী পুকুর ভরাটের চেষ্টা করছে কুচক্রী মহল। এ পুকুরটি ভরাট হলে এর উত্তর পাশে আর কোন পুকুরে অবশিষ্ট থাকবে না। ফলে বাজারে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হবে।
কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, এটি আমাদের ব্যক্তিগত পুকুর। পুকুরটি আমাদের প্রয়োজনে ভরাট করছি। এভাবে ভরাট করতে বাঁধা আছে তা আমরা জানতাম না।
বিএনএ/সবুজ, এমএফ