বিএনএ, ঢামেক হাসপাতাল প্রতিবেদক: রাজধানীতে পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে দু নারী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১০ আগস্ট)রাতে পৃথকভাবে এ সব ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার(১০আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় এবং পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে তুরাগ আজিমপুর খানটেক মোস্তফা হাজির টিনশেড বাড়িতে। সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থী মায়ের সাথে অভিমান করে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার বালুঝুরি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে সুলতানা। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সুলতানা পরিবারের সঙ্গে তুরাগ আজিমপুর খানটেক মোস্তফা হাজির টিনশেড বাড়িতে থাকতো।
হাসপাতালে সুলতানার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, সুলতানা দীর্ঘদিন আগে পড়ালেখা করলেও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কিছুদিন আগ থেকে পড়ালেখা বাদ দেয়। তার ওপর ভূতের আছর ছিল। এ কারণে মাসে দু’তিনবার তাকে ভোগান্তি পোহাতে হতো। এছাড়া খুব রাগি ছিল সে। গতরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা শামসুন্নাহারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় তার। এ কারণে রাত দশটার দিকে সে তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। রাত দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটনায় অর্পনা রানী নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী যাত্রাবাড়ী কাজলা নগর এলাকায় নিজ বাসায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন।
অর্পনা রানী দাসের চাচা মিলন চন্দ্র দাস জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ইটনা উপজেলার ধনপুর গ্রামে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বড় অর্পনা পরিবারের সাথে যাত্রাবাড়ী কাজলা নগর এলাকায় রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তার বাবা মৃদুল চন্দ্র দাস।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে অর্পনা। গত রাতে সে টিভি দেখছিল। তখন তার দাদা তাকে পড়তে বসতে বলেন। এ নিয়ে দু-এক কথার কারণে সে মন খারাপ করে তার রুমে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে ছারপোকা মারার কীটনাশক পান করে। কিছুক্ষণ পর তাকে বমি করতে দেখে সন্দেহ হলে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনা দুটি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪, আহা, এসজিএন