20 C
আবহাওয়া
১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » উপজাতি কোটা বাতিলের দাবিতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি

উপজাতি কোটা বাতিলের দাবিতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি


বিএনএ, রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমূলক উপজাতি কোটা বাতিলের দাবিতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা।

বুধবার (১০ জুলাই) সকালে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করার জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য উপজাতি কোটা সুবিধা রাখা হলেও এই অঞ্চলের ছোট ছোট জাতিগোষ্ঠীর লোকজন প্রত্যাশিত সুবিধা পাচ্ছে না। পার্বত্য অঞ্চলে পার্বত্য বাঙালিসহ ১৩টি জাতিগোষ্ঠীর সমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করছে। এতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আরও প্রান্তিক করে ফেলছে। একচেটিয়া চাকমা সম্প্রদায় কোটাসহ সর্বোচ্চ সকল সুযোগসুবিধা পেয়ে আসছে। আর বঞ্চিত থাকা বাঙালিসহ ১৩টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে পার্বত্য অঞ্চলে নতুন করে সশস্ত্র সংগঠন সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে বম জনগোষ্ঠী কেন্দ্রিক কেএনএফও চাকমাদের দ্বারা বৈষম্যের কারণে সৃষ্টি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করে। তাছাড়া অগ্রাধিকারের নামে একচেটিয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীদের নিয়োগের ফলে বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালি শিক্ষিত যুবকরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য দূর করে শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপন করতে হলে একতরফা উপজাতি কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।

এতে বলা হয়, শান্তিচুক্তির আগে ও পরে হাজার হাজার পদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোককে নিয়োগ দিয়েছে সরকার, যার মধ্যে একজন বাঙালিও নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতিদের মধ্যে শুধু চাকমা সম্প্রদায়ের অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সেনা অফিসার, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত রয়েছে। বিপরীতে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা শতগুণে পিছিয়ে আছে। যদি সংস্কার করে কোটা চালু রাখতেই হয়, তাহলে কোটা সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল বাসিন্দাদের জনসংখ্যা অনুপাতে সমান কোটা সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদ কর্তৃক দেওয়া শিক্ষা বৃত্তিতে বাঙালিরা চরম বৈষম্যের  মুখোমুখি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এ সময় পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজম, রাঙামাটি জেলা  সাধারণ সম্পাদক মো: তাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো: শাখাওয়াত হোসেন ও রাবিপ্রবি ছাত্রনেতা মো: নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন/এইচ.এম/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ